প্রধান শিক্ষককে নিগ্রহের অভিযোগে উত্তপ্ত আউশগ্রাম। — নিজস্ব চিত্র।
পড়ুয়াদের শাসন করার ‘অপরাধে’ হেনস্থা করা হল প্রধান শিক্ষককে। পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের শিবদা গ্রামে শুক্রবার কয়েক জন পড়ুয়াকে শাসন করার জেরে পড়ুয়াদের পরিবারের লোকজন চড়াও হন স্কুলে। শিবদা কলোনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অপূর্ব মণ্ডলকে ঘিরে ধরে হেনস্থা এবং মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। শিক্ষককে বাঁচাতে যান কয়েক জন স্থানীয় বাসিন্দা। তাঁদের সঙ্গে হামলাকারীদের সংঘর্ষ বেধে যায়। বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা গিয়েছে, এ দিন স্কুল ছুটির আগে পড়ুয়াদের কিছুক্ষণ খেলাধুলো করতে বলেছিলেন শিক্ষকরা। প্রধান শিক্ষক অপূর্ব জানান, দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়ারা যখন খেলছিল তখন ওই ক্লাসেরই চার পড়ুয়া অন্যান্য সহপাঠীদের ব্যাগ থেকে পেন, পেন্সিল ইত্যাদি বার করে নেয়। ছাত্রছাত্রীরা অভিযোগ জানানোর পর ওই চার পড়ুয়ার কাছ থেকে সেগুলি উদ্ধার হয়। অপূর্ব বলেন, ‘‘ছাত্রদের বলি, বিষয়টি নিয়ে যেন তারা একে অপরের সঙ্গে ঝগড়া, ঝামেলা না করে। আর ওই চার পড়ুয়াকে বলা হয়, পর দিন যেন তাদের অভিভাবকরা স্কুলে এসে দেখা করেন।’’
স্থানীয় সূত্রে খবর, স্কুল ছুটির পর শিক্ষক, শিক্ষিকারা স্কুল বন্ধ করে যখন বেরিয়ে আসছেন, তখনই ওই চার পড়ুয়ার বাড়ির লোকজন-সহ ১৫-২০ জন স্কুলে উপস্থিত হন। অভিযোগ, তাঁরা অপূর্বকে গালিগালাজ করতে থাকেন। স্কুলের মধ্যেই প্রধান শিক্ষককে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। গোলমালের খবর পেয়ে আশপাশের বাড়ি থেকে মহিলা, পুরুষেরা বেরিয়ে আসেন। তাঁরা মারের হাত থেকে প্রধান শিক্ষককে বাঁচানোর চেষ্টা করেন । এতে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। উপস্থিত হন ডিএসপি ক্রাইম সুব্রত মণ্ডল, আউশগ্রামের থানার আইসি আব্দুর রব খানও। গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে পুলিশে শিক্ষক নিগ্রহের অভিযোগ জানানো হয়েছে। তবে হামলাকারীরা সকলেই পালিয়ে গিয়েছেন।