পর্যটকদের জন্য সেজে উঠেছে মাইথন পর্যটনকেন্দ্র। ছবি: পাপন চৌধুরী
ভিড় তেমন নেই। তবে কলকাতা ও শহরতলি থেকে সপ্তাহান্তে কিছু পর্যটক আসছেন পশ্চিম বর্ধমানের মাইথনে। এই পরিস্থিতিতে কোভিড-বিধি কড়া ভাবে মেনে চলার জন্য এলাকার সরকারি, বেসরকারি হোটেল ও লজ কর্তৃপক্ষকে এবং ব্লক প্রশাসনের কাছে রাজ্যের সতর্কতা-বিধি পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
কল্যাণেশ্বরী মন্দির, মাইথন, বর্ষায় ভাড়া করে নৌকাভ্রমণ, সব মিলিয়ে এই জায়গা বরাবরই পর্যটকদের অন্যতম গন্তব্য। তা ছাড়া, জলাধার থেকে বর্ষায় দামোদরে জল ছাড়ার দৃশ্যও দেখতে আসেন অনেকে। এই পরিস্থিতিতে বহিরাগতদের হোটেলে ঘর-ভাড়া দেওয়ার আগে সরকার নির্দেশিত কোভিড-বিধি মেনে চলতেই হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। অতিরিক্ত জেলাশাসক (পর্যটন) হুমায়ুন বিশ্বাস বলেন, ‘‘সরকার একটি স্থায়ী সতর্কতা-বিধি পর্যটনকেন্দ্রগুলির জন্য জারি করেছে। তা আমরা সংশ্লিষ্ট জায়গায় পাঠিয়ে দিয়েছি।’’ জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, যে সব পর্যটক আসছেন, তাঁদের কোভিড টিকা নেওয়ার শংসাপত্র আছে কি না, করোনার কোনও উপসর্গ আছে কি না, হোটেলগুলিতে করোনা-বিধি ঠিক মতো মানা হচ্ছে কি না, সে সব বিষয়ে নজর রাখা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে মাইথনের সরকারি টুরিস্ট লজের আধিকারিক নজরুল ইসলাম জানান, অনলাইনে ঘর ‘বুকিং’ করে আসা পর্যটকদের থেকে প্রথমেই কোভিড টিকা নেওয়ার শংসাপত্র চাওয়া হচ্ছে। তাঁর দাবি, ‘‘শংসাপত্র দেখাতে পারেননি, এ পর্যন্ত এক জনও এমন আসেননি।’’ পাশাপাশি, লজের অর্ধেক সংখ্যক ঘরই বুক করা যাচ্ছে বলে জানান তিনি। মাইথনে রয়েছে প্রায় ২৯টি বেসরকারি হোটেল ও লজ। তাঁরাও এই বিধি কঠোর ভাবে মানছেন বলে দাবি ‘মাইথন হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর সম্পাদক মনোজ তিওয়ারি। তিনি বলেন, ‘‘হোটেলগুলিতে পূর্ণ ক্ষমতার অর্ধেক সংখ্যক পর্যটককেই রাখা হচ্ছে। পর্যটকদের নামের তালিকা প্রতি দিন স্থানীয় থানায় জমা করতে হয়। তাই কোভিড-বিধি উপেক্ষিত হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।’’
কিন্তু এর পরেও সম্প্রতি মাইথনে গিয়ে দেখা গেল, অনেক পর্যটকই মাস্ক পরেননি। কেন পরেননি, জানতে চাওয়া হলে চন্দননগর থেকে আসা পর্যটক সমীর সাহারায় তড়িঘড়ি রুমাল দিয়ে মুখ ঢেকে বলেন, ‘‘ভুলে গিয়েছি। আর হবে না। মাস্ক পরে নেব।’’ এই বিষয়টি নিয়েও চলছে সচেতনতা প্রচার, দাবি জেলা প্রশাসনের।