বৃষ্টির পরে, বর্ধমানের জিটি রোডে। ছবি: উদিত সিংহ।
দেখে মনে হতে পারে নিকাশি নালা। কিন্তু আদতে তা রাস্তা! বর্ধমানে বর্ষায় এমনই অবস্থা জিটি রোডের। সামান্য বৃষ্টি হলেই কার্জন গেটের কাছে জিটি রোডে গোড়ালি সমান জল দাঁড়িয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। পার্কাস রোড, টাউনহল পাড়া, ঢলদিঘি-সহ শহরের বিভিন্ন জায়গাতেই এই রাস্তা ভেঙেচুরে গিয়েছে। বৃষ্টি হলে যাতায়াত করা মুশকিল হয়ে পড়ছে বলে জানান পথচারীরা।
বর্ধমান শহরের মাঝখান দিয়ে গিয়েছে এই রাস্তা। শহরবাসীর অভিযোগ, নবাবহাট থেকে শুরু করে শহরের বিভিন্ন জায়গায় জিটি রোডে বড়-বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। টাউনহল পাড়ায় মিউনিসিপ্যাল বয়েজ় স্কুলের উল্টো দিকে গর্তে নীচের ইট পর্যন্ত বেরিয়ে গিয়েছে৷ এই চত্বরে বেশ কয়েকমিটার রাস্তার বিপজ্জনক অবস্থা। টাউনহলের গেট পেরিয়ে ঢলদিঘির আগেও রাস্তার কিছুটা অংশ খারাপ। সামান্য বৃষ্টিতেই জল জমে যায় বলে অভিযোগ। কালীবাজার মোড়, বীরহাটার ক্লক টাওয়ারের কাছে, পুরনো তিনকোনিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে পার্কাস রোডের দিকে যাওয়ার পথে বেশ কিছুটা অংশ বেহাল। ছোট-বড় গর্ত তৈরি হয়েছে।
তিনকোনিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকার এক বেসরকারি সংস্থার কর্মী রামকৃষ্ণ রুদ্রের কথায়, ‘‘সামান্য বৃষ্টিতেই জিটি রোডে জল জমে যায়। জল বার করার ব্যবস্থা নেই। গর্তে জল জমে থাকলে বোঝা যায় না। মোটরবাইকে যাওয়ার সময়ে প্রায়ই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটে।’’ কার্জন গেট চত্বরের ব্যবসায়ী লাল্টু দাস, পথচারী মনোময় ভাণ্ডারিদের অভিযোগ, ‘‘বৃষ্টি হলেই জল জমে যায়। তার উপর দিয়ে যানবাহন চলাচল করলে রাস্তার দু’পাশের ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়েন। রাতে রাস্তায় যথেষ্ট আলো না থাকায় সমস্যা চরমে পৌঁছয়।’’ বর্ষার আসার আগে কেন রাস্তাটি নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, সে প্রশ্নও তুলেছেন বাসিন্দারা।
পুর্ত দফতরের বর্ধমানের এক আধিকারিকের অবশ্য দাবি, জিটি রোডে বেশ কিছু সংস্কারের কাজ করা হয়েছে। যে সব জায়গায় এখনও সমস্যা আছে, সেগুলি খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে, আশ্বাস তাঁর।