Physical Harassment

মূক-বধির মেয়েকে বেঁধে ও কী করছে! প্রতিবেশীর কাণ্ড দেখে চমকে উঠলেন মা, গ্রেফতার যুবক

বাঁধন খুলে মেয়েকে উদ্ধার করেন মা। মেয়ে ইশারায় জানায় তার সঙ্গে কী হয়েছে। এর পর নাবালিকার মা শনিবার রাতে ঘটনার কথা জানিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গলসি শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০২৩ ২৩:১০
Share:

নাবালিকার হাত-পা বেঁধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ। প্রতীকী ছবি।

মূক ও বধির নাবালিকার হাত-পা বেঁধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল পূর্ব বর্ধমানের গলসি থানার পুলিস। ধৃতের নাম অভিজিৎ বাগদি ওরফে অভি। গলসি থানা এলাকাতেই তাঁর বাড়ি।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, বছর ১৩-এর এক মূক ও বধির নাবালিকা একা বাড়িতে ছিল। মা-বাবা পেশায় দিনমজুর। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁরা কাজে গিয়েছিলেন। বাড়িতে তখন কেউ ছিল না। দুপুর ১২টা নাগাদ মাঠ থেকে ফিরে এসে মা দেখেন, বাড়িতে মেয়ে নেই। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন তিনি। প্রতিবেশী ওই যুবকের যাতায়াত রয়েছে তাঁর বাড়িতে। সে জন্য নাবালিকার মা অভির বাড়িতে যান। মেয়ে আছে কি না তা জানতে চান। কিন্তু অভির পরিবারের লোকজন জানান যে মেয়েটি সেখানে যায়নি।

কিন্তু ফিরে আসার সময় ওই যুবকের ঘরের পাশে মেয়ের জুতো জোড়া পড়ে থাকতে দেখেন মা। সন্দেহ হয় তাঁর। কাউকে কিছু না বলে সিঁড়ি বেয়ে সোজা বাড়ির দোতলায় উঠে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন, ঘরের মধ্যে খাটে তাঁর মেয়ে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। আর অভি মেয়ের শ্লীলতাহানি করছে! নাবালিকার মাকে দেখেই অভি সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

Advertisement

বাঁধন খুলে মেয়েকে উদ্ধার করেন মা। মেয়ে ইশারায় জানায় সঙ্গে কী হয়েছে। এর পর নাবালিকার মা শনিবার রাতে ঘটনার কথা জানিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে শ্লীলতাহানি এবং পকসো আইনে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে পুলিশ। ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নাবালিকার প্রাথমিক মেডিকেল পরীক্ষা করায় পুলিশ। এর পর রাতেই যুবককে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

শনিবার রাতে বাড়ি থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতকে রবিবার বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে সোমবার ধৃতকে বর্ধমানের পকসো আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement