মায়ের সঙ্গে সুপ্রীতি। নিজস্ব চিত্র
ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের ‘যুবিকা’ (যুব বিজ্ঞানী কার্যক্রম) প্রকল্পের প্রাথমিক তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে বর্ধমানের সুপ্রীতি ভট্টাচার্য। সুপ্রীতি ছাড়াও রাজ্যের দশ জন এই তালিকায় স্থান পেয়েছে। ছাত্রীকে নিয়ে আশায় বুক বাঁধছে তার স্কুল, পরিজনেরাও।
বর্ধমানের ইস্ট ওয়েস্ট মডেল স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী সুপ্রীতি। বাড়ি বর্ধমান শহর লাগোয়া গোলাপবাগ মোড় সংলগ্ন আমতলা এলাকায়। গত বুধবারই ইসরোর তরফে ই-মেল এসেছে তার কাছে। তাতে জানানো হয়েছে, আগামী মাসে অনলাইনে একটি পরীক্ষা নেওয়া হবে। তাতে উতরে গেলেই খুলে যাবে ইসরোর দরজা।
ওই স্কুল সূত্রে জানা যায়, সারা দেশের খুদে পড়ুয়াদের মহাকাশ নিয়ে পড়াশোনা, গবেষণায় উৎসাহ দিতে এই প্রকল্প শুরু করেছে ইসরো। মাসখানেক আগে ইসরোর ওয়েবসাইটে এই সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। স্কুলের তরফে পাঁচ জনকে বেছে নিয়ে অনলাইনে আবেদন করা হয়। স্কুলের পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে খেলা, অন্যান্য প্রতিভা মিলিয়ে বেছে নেওয়া হয় পড়ুয়াদের। দেশ জোড়া আবেদনের ভিত্তিতে প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করে ইসরো। সেখানেই এ রাজ্যের দশ জনের মধ্যে রয়েছে সুপ্রীতি।
স্কুলের অধ্যক্ষ শুভদীপ দে জানান, বরাবর ভাল রেজাল্ট করে সুপ্রীতি। ভরতনাট্যমে জাতীয় স্তরের শিল্পী সে। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাতেও যোগ দিয়েছে। অ্যাথলেটিক্সেও ভাল সে। সব মিলিয়ে ইসরোর তালিকায় স্থান পেয়েছে সে। সুপ্রীতির মা সৌরভী ভট্টাচার্যও জানান, মেয়ের বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করার ইচ্ছা। অনলাইনে নানা পরীক্ষা সে কাউকে না বলেই দিয়ে দেয়। রোবট নিয়ে কাজ করার ইচ্ছাও রয়েছে এই পড়ুয়ার।
আর সুপ্রীতি বলে, ‘‘বরাবরই মহাকাশ নিয়ে আগ্রহ রয়েছে আমার। ইসরোয় যেতে পারলে অনেক বড় বিজ্ঞানীদের মুখোমুখি হতে পারব।’’