এমএএমসি টাউনশিপে জলের ট্যাঙ্ক পাঠাল পুরসভা। নিজস্ব চিত্র।
পানীয় জলের পাইপলাইনে নিকাশির জল মিশে যাওয়ায় তা পান করে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বাসিন্দারা— এই অভিযোগ তুলে বুধবার আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের (এডিডিএ) কাছে স্মারকলিপি দিলেন এমএএমসি টাউনশিপের বাসিন্দারা। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে এডিডিএ।
এমএএমসি কারখানা ২০০২ সালে বন্ধ হয়ে যায়। তার পরেই টাউনশিপের নাগরিক পরিষেবা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। সিটুর একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত কারখানা থেকে টাউনশিপকে আলাদা করে দেয়। রাজ্য সরকারের মাধ্যমে টাউনশিপের দায়িত্ব বর্তায় এডিডিএ-র উপরে। তার পর থেকে নাগরিক পরিষেবা দিয়ে থাকে পুরসভা। আর জল ও বিদ্যুৎ সরবরাহ করে ডিপিএল। চার হাজারেরও বেশি আবাসনে বাস করেন প্রায় আড়াই হাজার প্রাক্তন শ্রমিক-কর্মীর পরিবার। এ ছাড়া বেশ কিছু আবাসন বেদখল হয়ে গিয়েছে।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, নাগরিক পরিষেবা বেহাল। চার দিকে আগাছার জঙ্গল, নিকাশি বেহাল, রাস্তায় আলো নেই। গত কয়েক দিন ধরে পানীয় জল নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে। ‘এমএএমসি টাউনশিপ আবাসিক ওয়েলফেয়ার অ্যাসাসিয়েশন’-এর সাধারণ সম্পাদক অসীম চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, পানীয় জলের পাইপে মিশে গিয়েছে নিকাশি নালার জল। সেই জল খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকেই। প্রদীপ দাস, রবীন্দ্রনাথ সূত্রধরদের অভিযোগ, ‘‘কাজল রায় নামে এক বাসিন্দা অসুস্থ হয়ে ইতিমধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। অনেকেই পেটের রোগে ভুগছেন।’’ এ দিন এডিডিএ-র কাছে স্মারকলিপি দিয়ে দ্রুত মেরামতির দাবি জানান তাঁরা।
এডিডিএ-র তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যে মেরামতির কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। একাধিক জায়গায় খোঁড়াখুঁড়িও চলছে। পুরসভার ডেপুটি মেয়র অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এডিডিএ-র সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা হয়েছে। দ্রুত সারিয়ে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে তারা। এলাকায় পুরসভার জলের ট্যাঙ্ক পাঠানো