Hooch

Burdwan hooch death: বিষমদ-কাণ্ডের তদন্তে বর্ধমানের ভাতের হোটেলে ফরেন্সিক দল, সংগ্রহ করা হল নমুনা

বর্ধমান শহরে একটি ভাতের হোটেলে মদ খেয়ে আট জনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। সেই ঘটনারই তদন্তে গিয়ে অকুস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২২ ১৪:৫৪
Share:

বর্ধমানের ভাতের হোটেলে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। নিজস্ব চিত্র।

বিষমদ-কাণ্ডে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের দল এল বর্ধমানে। দুই সদস্যের ওই দলটি বর্ধমানের জিটি রোডের ধারে লক্ষ্মীপুর মাঠে একটি ভাতের হোটেলে ঢুকে নমুনা সংগ্রহ করে। ফরেন্সিক দলের সদস্যেরা হোটেল থেকে বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহের পাশাপাশি অভিযুক্ত হোটেল মালিক গণেশ পাসোয়ানের বাড়িতেও যান। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ছিলেন বর্ধমান থানার আইসি সুখময় চক্রবর্তী।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ফরেন্সিক দলের সদস্যেরা বর্ধমান থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ওই হোটেলে ঢোকেন। সেই সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএসপি সদর অতনু ঘোষাল। ফরেন্সিক দলের সদস্য দেবাশিস সাহা বলেন, ‘‘নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষাগারে নমুনা পাঠানো হবে। রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।’’ গণেশের বাড়ির ভিতর থেকে পুলিশ দু’বস্তা মদের বোতল উদ্ধার করেছে। পাশাপাশি, হোটেলের ভিতর থেকেও পুলিশ সিল করা একটি বাক্স উদ্ধার করে। তাতে ভরা মদের বোতল।

পাশাপাশি ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা যান বড়বাজারের একটি ভাতের হোটেলেও। সেই হোটেলের মালিক চিন্ময় দে এবং তাঁর ভাই গৌতমেরও বিষমদ পান করে মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ।

Advertisement

বিষমদ-কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে হোটেলের মালিক গণেশকে। গত মঙ্গলবার সকালে বর্ধমান শহরের খোসবাগান এলাকার একটি নার্সিংহোমের সামনে থেকে তাঁকে পাকড়াও করে পুলিশ। দেশি মদে ভেজাল মেশানোর কথা ধৃত কবুল করেছে বলে পুলিশের দাবি। ধৃতকে বর্ধমান আদালতে হাজির করানো হয়। তাঁকে ৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছেন বিচারক।

গণেশের হোটেলেই মদ খেয়ে ৮ জনের মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। এ নিয়ে শহরের বাহির সর্বমঙ্গলা পাড়ার বাসিন্দা মৃত হালিম শেখের দাদা হবিবুর শেখ বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি জানান, গত বুধবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ তাঁর ভাই-সহ আরও কয়েক জন গণেশের হোটেলে গিয়ে সরকার স্বীকৃত ব্র্যান্ডের দেশি মদ খান। পর দিন সন্ধ্যায় সকলে অসুস্থ হয়ে পড়লে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও স্থানীয় কয়েকটি নার্সিংহোমে তাঁদের ভর্তি করানো হয়। রাত ৯টা নাগাদ হালিম মারা যান। নেশা বাড়ানোর জন্য মদে বিষাক্ত কিছু মেশানো হয়েছিল বলে পুলিশকে অভিযোগে জানিয়েছেন হবিবুর। সেই ঘটনারই তদন্ত করতে সরেজমিনে ওই ভাতের হোটেলে পৌঁছল ফরেন্সিক দল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement