জলমগ্ন অন্ডাল বিমানবন্দর। — নিজস্ব চিত্র।
অন্ডাল বিমানবন্দর থেকে জল নেমে গিয়েছে। তবে এখনও স্বাভাবিক হয়নি পরিষেবা। শনিবারও একাধিক বিমান বাতিল করা হয়েছে। নতুন করে বৃষ্টির জল না জমলে রবিবার থেকে বিমান চলাচল স্বাভাবিক হতে পারে সেখানে।
অন্ডালের কাজী নজরুল ইসলাম বিমানবন্দর বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল শুক্রবার। সারা দিন বিমান চলাচল বন্ধ রাখতে হয়েছিল। বিমানের রানওয়ে থেকে শুরু করে বিমানবন্দরে প্রবেশের রাস্তা, সর্বত্র জল দাঁড়িয়েছিল। বিমান ওঠানামা করার মতো পরিস্থিতি সেখানে ছিল না। কর্তৃপক্ষের তরফে শুক্রবারের জন্য বিমানবন্দর বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শনিবারও বাতিল করা হল একাধিক বিমান। একটি বিমান সংস্থা ছাড়া আর কোনও সংস্থার বিমান অন্ডালে চলছে না।
শনিবার অবশ্য জল নেমে গিয়েছে বিমানবন্দর থেকে। রবিবারের মধ্যে পরিষেবা স্বাভাবিক হবে বলে আশাবাদী কর্তৃপক্ষ। অন্ডালের কাজী নজরুল ইসলাম বিমানবন্দর উত্তরবঙ্গের সঙ্গে আকাশপথে যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। দার্জিলিং বা সিকিমে ঘুরতে গেলেও এই বিমানবন্দরের মাধ্যমে যাতায়াত করেন যাত্রীরা। এ ছাড়া, অন্ডাল থেকে মুম্বই, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, চেন্নাইয়ের মতো শহরের বিমানও ছাড়ে। বৃহস্পতিবার থেকে টানা বৃষ্টির কারণে পশ্চিম বর্ধমানের বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল। ডুবে গিয়েছিল রাস্তাঘাট, সেতুও। অন্ডাল বিমানবন্দরেও বৃহস্পতিবার রাত থেকে জল জমতে শুরু করে। শুক্রবারও বৃষ্টি হয়েছে বর্ধমানে। শনিবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার ফলে জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, অন্ডাল বিমানবন্দরে যাতায়াতের রাস্তায় নিকাশি ব্যবস্থা ভাল নয়। দীর্ঘ দিন ধরেই তাই সমস্যা চলছে। একটু বেশি বৃষ্টি হলেই বিমানবন্দর জলমগ্ন হয়ে পড়ে। বিমানবন্দর পর্যন্ত পৌঁছনোর রাস্তাতেও জল জমে থাকে। অনেক ক্ষেত্রেই জল নামতে সময় লাগে। ফলে যাত্রীদের অসুবিধা হয়। শুক্র এবং শনিবার পর পর দু’দিন বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীদের ভোগান্তি বেড়েছে।