উদ্ধার হওয়া আয়ুর্বেদিক ওষুধ নিজস্ব চিত্র।
বেআইনি ভাবে আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরি ও বিক্রির অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেফতার করল পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের কুলটি থানার বরাকর ফাঁড়ির পুলিশ। সোমবার রাতে হনুমান চরাইয়ের বাউড়ি পাড়ায় এক ব্যক্তির বাড়িতে হানা দেয় ফাঁড়ির পুলিশ। সেই বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় প্রায় দেড় লক্ষ টাকার বেআইনি ভাবে তৈরি আয়ুর্বেদিক ওষুধ। গ্রেফতার করা হয় বাড়ি মালিক ঋতেশ গুপ্তাকে। এছাড়াও গ্রেফতার করা হয় অজয় গুপ্তা, রূপেশ গুপ্তা, সুমন রুইদাস ও অশোককুমার চৌধুরী নামে আরও ৪ জনকে। কাশি, পেট ব্যথা সহ বিভিন্ন রোগের সিরাপ ও ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে এখান থেকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরেই কোনও ট্রেড বা ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়া বহাল তবিয়তে বেআইনি ভাবে বাড়ির ভিতরে আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরি করে বাজারে বিক্রি করছিলেন ঋতেশ। তাও একটি কোম্পানির লেবেল লাগিয়ে। কলকাতার বিভিন্ন জায়গা থেকে ওষুধ তৈরির জন্য উপকরণ কিনে এনে তিনি ওষুধ তৈরি করতেন। এর পর সেগুলি বিভিন্ন রাজ্যে বিক্রি করতেন।
পুলিশ জানিয়েছে, এই বেআইনি ওষুধ তৈরির সঙ্গে আরও কে কে জড়িত আছে, তা জানতে ধৃতদের জেরা করা হবে। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য দফতরকে খবর দেওয়া হয়েছে। তদন্তে তাদের সাহায্য নেওয়া হবে।