পুড়েছে নানা জিনিস। নিজস্ব চিত্র
পুজোর মুখে কারখানায় আগুন লেগে নষ্ট হল বহু তাঁতের শাড়ি। নষ্ট হয়েছে শাড়ির নকশার সুতো কাটার একটি যন্ত্রও। কালনার ধাত্রীগ্রামের বেলকুলির ওই কারখানার মালিকপক্ষের দাবি, কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেলকুলির গ্রামের ব্যবসায়ী বিপ্লব বারুইয়ের বাড়ির একতলায় ওই কারখানা রয়েছে। সম্প্রতি সেখানে ওই যন্ত্র বসিয়েছিলেন তিনি। তাঁর দাবি, ঘণ্টায় যন্ত্রটি থেকে প্রায় একশোটি শাড়ির বুটি থেকে সুতো কাটা যায়। পুজোর আগে এলাকার অনেক তাঁতিই দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য বিপ্লববাবুর কারখানায় এই কাজের জন্য শাড়িও দিয়ে যান।
এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, রবিবার সকাল সওয়া ৯টা নাগাদ কারখানার কয়েকজন কর্মী সবে কাজ শুরু করার তোড়জোড় করছেন। তার মধ্যেই যে ঘরে যন্ত্রটি ছিল সেখান থেকে আগুন এবং ধোঁয়া বেরনো শুরু হয়। কারখানার কর্মী এবং স্থানীয় মানুষের চেষ্টায় বেশ কিছু কাপড়, যন্ত্রাংশ, সুতো উদ্ধার করে বাইরে আনা হয়। ঘণ্টাখানেক পরে কালনা থেকে দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। আসে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, দমকল আগে এলে ক্ষতির বহর অনেকটাই কমার সম্ভাবনা ছিল।
স্থানীয় বাসিন্দা অরুণ সরকারের দাবি, ‘‘আমি ৫২টি তাঁতের শাড়ি ওই কারখানায় দিয়েছিলাম। এখনও পর্যন্ত জানি না কোনও শাড়ি কারখানার মালিক আগুনের হাত থেকে বাঁচাতে পেরেছেন কি না।’’ ঘটনায় তাঁর মতো অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, দাবি তাঁর। বিপ্লববাবু বলেন, ‘‘আমি এক জনের ফোনে কারখানায় আগুন লাগার কথা জানতে পারি। পুজোর মুখে এত বড় ক্ষতি হবে ভাবতে পারিনি।’’ আগুন কী ভাবে লাগল তা দেখা হচ্ছে, জানিয়েছে দমকল। তবে পৌঁছতে দেরি নিয়ে কিছু বলতে চাননি তাঁরা।