এই ভাবেই নাম লেখা হয়েছে একাধিক দেওয়ালে। নিজস্ব চিত্র
পুরভোটে ওয়ার্ড সংরক্ষণের খসড়া তালিকা বার হওয়ার পরে জেলা প্রশাসনের কাছে আপত্তি বা দাবি জানানোর সুযোগ ছিল। দেখা গিয়েছে, জমা পড়া আপত্তির বেশির ভাগই তৃণমূলের তরফে। দলের এক বিধায়কও খসড়া তালিকায় ‘ত্রুটি’ রয়েছে বলে আপত্তি জানিয়েছিলেন। সোমবার জেলার চারটি পুরসভার চূড়ান্ত সংরক্ষণের তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পরে দেখা গেল, সব জায়গাতেই খসড়া তালিকা অপরিবর্তিত রয়েছে।
১৭ জানুয়ারি কলকাতা-সহ রাজ্যের ৯৩টি পুরসভার ওয়ার্ড সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশিত হয়। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া, কালনা, দাঁইহাট ও মেমারি পুরসভার তালিকাও ছিল তার মধ্যে। তার দেড় বছর আগে বর্ধমান ও গুসকরার ওয়ার্ড সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশ হয়েছিল। বর্তমানে সেই দু’টিতেই দায়িত্বে রয়েছেন প্রশাসক।
জেলা পুর দফতর সূত্রে জানা যায়, খসড়া তালিকা প্রকাশের ১৪ দিনের মধ্যে দাবি বা আপত্তি থাকলে জানাতে বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিলেন জেলাশাসক তথা জেলা নির্বাচন আধিকারিক বিজয় ভারতী। ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ওই আপত্তি বা দাবি জানানোর সুযোগ ছিল আমজনতা থেকে রাজনৈতিক দলগুলির। পরে সেই সব আপত্তি নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে শুনানি করে জেলা প্রশাসন। তার পরেই চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হয়।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, চারটে পুরসভায় তৃণমূলের তরফে ১০টি আবেদন জমা পড়েছিল। ব্যক্তিগত ভাবেও তৃণমূলের বিদায়ী কাউন্সিলরেরা আপত্তি জমা দিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। আবার জেলার এক তৃণমূল বিধায়কও সংরক্ষণের খসড়া তালিকায় বেশ কিছু ত্রুটি রয়েছে বলে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, কাটোয়া ও কালনা পুরসভায় চারটি করে, মেমারি ও দাঁইহাট পুরসভায় একটি করে আবেদন জমা পড়ে। এ ছাড়া, বিজেপির তরফে একটি ও সিপিএমের তরফে একটি আবেদন জমা পড়ে।
খসড়া অনুযায়ী, চারটে পুরসভায় সংরক্ষণের গেরোয় পড়েছিলেন দু’জন পুরপ্রধান, উপপুরপ্রধান-সহ বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী কাউন্সিলর। চূড়ান্ত তালিকাতেও ওই গেরো থেকে বেরোতে পারলেন না তাঁরা।