River Erosion

River Bank Erosion: দামোদরের ভাঙনে তলিয়ে যাচ্ছে চাষের জমি, দুশ্চিন্তায় জামালপুরের চাষিরা

দামোদরে জল কমলেও তার পাড়ের ভাঙন ভয়াবহ আকার নিয়েছে। ভাঙনের গ্রাসে বিস্তীর্ণ এলাকার চাষের জমি তলিয়ে যেতে শুরু করেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জামালপুর শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০২১ ০২:০৫
Share:

দামোদরের পাড় ভাঙনের জেরে মাথায় হাত এলাকার বহু চাষির। —নিজস্ব চিত্র।

দিন কয়েকের ভারী বৃষ্টির সঙ্গে ডিভিসি-র ছাড়া জলে ফুলেফেঁপে উঠেছিল দামোদর নদ। যার জেরে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ব্লকে। তবে দামোদরে জল কমলেও তার পাড়ের ভাঙন ভয়াবহ আকার নিয়েছে। ভাঙনের গ্রাসে বিস্তীর্ণ এলাকার চাষের জমি তলিয়ে যেতে শুরু করেছে। ভাঙনের জেরে মাথায় হাত চাষিদের। অভিযোগ, গত কয়েক বছর ধরে বিঘার পর বিঘা জমি হারালেও ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। এ অভিযোগ উড়িয়ে দিচ্ছেন না শাসকদলের একাংশ। তবে ভাঙন রোধে দ্রুত পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, জামালপুর ব্লকের জ্যোৎশ্রীরাম অঞ্চলের বহু গ্রামই দামোদর লাগোয়া। অমরপুর, শিয়ালী, কোড়া, মাঠ শিয়ালী-সহ একাধিক গ্রামের সিংহভাগ বাসিন্দাই কৃষিজীবী। দামোদরের পাড় বরাবর বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে রয়েছে তাঁদের অনেকের চাষের জমি। এলাকার প্রবীন চাষি শেখ মোবারক বলেন, “দামোদরের ধারে ৩ একর ২৭ শতক চাষের জমি ছিল। গত কয়েক বছরের ভাঙনে ১ একর জমি তলিয়ে গিয়েছে। দামোদরের পাড় জুড়ে অমরপুরের প্রায় আড়াই কিলোমিটার এলাকায় ফের ভাঙন শুরু হয়েছে। এ বার কতটা জমি নদের গর্ভে তলিয়ে যাবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তা হচ্ছে।” সনাতন মাল, মৃত্যুন মালের মতো অন্যান্য চাষির অভিযোগ, “ফি বছর অমরপুরের চাষিরা জমিহারা হচ্ছে। অথচ ভাঙন আটকাতে কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হচ্ছে না। দামোদরে জল বাড়লে নেতা-মন্ত্রীরা এসে ছবি তুলে চলে যায়। কাজের কাজ কিছুই হয় না।”

চাষিদের অভিযোগ উড়িয়ে দিতে পারেননি জ্যোৎশ্রীরাম অঞ্চল তৃণমূলের যুব সভাপতি রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, “অমরপুর এলাকায় চাষের জমি যে ভাবে তলিয়ে যাচ্ছে, তা সত্যিই উদ্বেগের বিষয়। পুরশুড়া এবং চাপাডাঙার সেচ দফতরের অফিসে ভাঙনের বিষয়ে গত ১০ বছর ধরেই জানিয়ে আসছি। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি।” তবে জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহমুদ খানের দাবি, “অমরপুরে দামোদরের পাড়ের ভাঙন সরেজমিনে দেখে এসেছি। ভাঙন রোধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।” একই আশ্বাস দিয়েছেন জামালপুর ব্লকের বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার। অন্য দিকে, পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ-সভাধীপতি দেবু টুডুর আশ্বাস, “দামোদরের ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement