প্রতীকী ছবি।
ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ৮০ হাজার টাকা তুলতে গিয়েছিলেন। সে টাকা হাতে পাওয়া দূরের কথা, উল্টে ৯২ হাজার টাকা খোয়ালেন এক গ্রাহক। এমনই অভিযোগ করেছেন বর্ধমান শহরের বাসিন্দা অসিত পাল। তাঁর দাবি, একটি অ্যাপ ডাউনলোড করে ব্যাঙ্কে অভিযোগ জানানোর নম্বরে ফোনের পরই সর্বনাশ হয়েছে তাঁর। এ নিয়ে বর্ধমান থানায় প্রতারণার অভিযোগ জানিয়েছেন অসিত।
পুলিশ সূত্রে খবর, বর্ধমান শহরের জগৎবেড় এলাকার বাসিন্দা অসিত জানিয়েছেন যে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বর্ধমান প্রধান শাখায় অ্যাকাউন্ট রয়েছে তাঁর। মঙ্গলবার চেকের মাধ্যমে ৮০ হাজার টাকা তোলার জন্য ওই ব্যাঙ্কে গিয়েছিলেন। তবে তাঁর অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা নেই বলে ব্যাঙ্ক থেকে জানানো হয়েছিল। এর পর তাঁকে কিছু ক্ষণ পর ব্যাঙ্কে আসতে বলা হয়। পুলিশের কাছে অসিতের দাবি, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের পরিষেবা কেন্দ্রে অভিযোগ জানানোর জন্য তার ফোন নম্বর গুগলে সার্চ করেন তিনি। সেখান থেকে একটি ফোন নম্বরও পান। সেই নম্বরে ফোন করে সাহায্য চাইলে তাঁকে গুগল প্লে-স্টোর থেকে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলা হয়। ওই অ্যাপটি ডাউনলোড করার পর পেমেন্ট অ্যাপের মাধ্যমে তাঁকে ২০ হাজার টাকা পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি তা পাঠাতে পারেননি। অসিতের দাবি, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট চালু রাখার জন্যই এমন বলা হয়েছিল। এর পর তাঁকে তিন দফায় ১৩ হাজার টাকা করে পাঠাতে বলা হয়। সে টাকা পাঠানোর পর ব্যাঙ্কে গিয়ে চেক ভাঙাতে গিয়ে দেখেন, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব ৯২ হাজার টাকা! প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
অসিতের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতারণার মামলা রুজু করেছে পুলিশ। বর্ধমান থানার এক আধিকারিক বলেন, ‘‘অভিযোগ পাওয়ামাত্র মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে ব্যাঙ্ক গ্রাহকদের সচেতনতা না বাড়লে এ ধরনের প্রতারণার ঘটনা বন্ধ করা সম্ভব নয়।’’