প্রতীকী ছবি
স্কুলের হিসাব পরীক্ষা করতে গিয়ে মেমারি থানার হাতে আটক হলেন ‘ভুয়ো অডিটর’। শনিবার দুপুরে মেমারির নবস্থার চাকুন্দি শ্রীরামকৃষ্ণ বিদ্যামন্দিরের শিক্ষকেরা ওই ব্যক্তিকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। তবে রাত পর্যন্ত তাঁকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
এ দিন বিকেলে মেমারির দু’টি স্কুল পুলিশের কাছে অভিযোগে জানান, ওই ব্যক্তি নিজেকে পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরের বাসিন্দা বলে জানিয়েছিলেন। তার সঙ্গেই কলকাতার একটি অডিট সংস্থার ‘অডিটর’ পরিচয় দিয়ে গত ২৬ জানুয়ারি চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন, মঙ্গল ও বুধবার ওই দু’টি স্কুলে অডিট করতে আসবেন তিনি। সেই মতো ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের হিসাবের খাতা ঠিক করে রাখার কথাও বলা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার প্রথমে চাকুন্দির স্কুলে যান ওই ব্যক্তি। সেখানে খাতা পরীক্ষা করার সময়ে বিভিন্ন ভাবে ভুল ধরে প্রধান শিক্ষককে ভর্ৎসনা করেন বলে অভিযোগ। এমনকি, স্কুলে প্রশাসক বসানোরও ‘হুমকি’ দেন। অভিযোগ, ওই প্রধান শিক্ষকের কাছে ২৭ হাজার টাকা দাবিও করেন তিনি। স্কুলের প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতীম বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, নগদ টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাঁকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। বুধবার বোহার হাইস্কুলে গিয়ে একই পদ্ধতিতে প্রধান শিক্ষক অরুণ মণ্ডলের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা ‘হাতিয়ে’ নেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।
স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ কলকাতার পূর্ব দিগন্তের একটি ‘অডিটর’ সংস্থাকে ওই দু’টি স্কুলে অডিট করার দায়িত্ব দিয়েছে। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায়, ওই ব্যক্তি ‘প্রতারক’। এর পরেই শনিবার তাঁকে ধরার জন্য ফাঁদ পাতেন দুই প্রধান শিক্ষক। নবস্থার ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক নগদ টাকা দেওয়ার জন্য পালশিট স্টেশনে আসতে বলেন ওই ব্যক্তিকে। তিনি আসতেই শিক্ষকেরা তাঁকে ঘিরে পরিচয়পত্র দেখতে চান। তিনি তা দেখাতে না পারায় খবর দেওয়া হয় পালসিট ফাঁড়িতে। পুলিশ এসে আটক করে নিয়ে যায় তাঁকে।
পুলিশের দাবি, আটক ব্যক্তি জেরায় তাঁদের জানিয়েছেন, তিনি যে নগদ টাকা নিয়েছিলেন তা ফেরত দিয়েছেন। কলকাতার ওই সংস্থার তরফেই তিনি এসেছিলেন বলেও দাবি করেন তিনি। ওই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এক কর্তা বলেন, “উনি আমাদের সংস্থার অ্যাকাউন্টস অফিসার। কিন্তু উনি ওখানে কেন গেলেন জানি না। আমাদের সংস্থা নগদে কোনও কারবার করে না।’’