সিবিআইয়ের দাবি সরকারির পাশাপাশি বেসরকারি ব্যাঙ্কেও খোলা হয়েছিল ‘ভুয়ো’ অ্যাকাউন্ট। ছবি: প্রতীকী
গরু পাচার করে পাওয়া টাকা রাখতে খোলা হয়েছিল একাধিক অ্যাকাউন্ট! সরকারির পাশাপাশি বেসরকারি ব্যাঙ্কেও খোলা হয়েছিল ‘ভুয়ো’ অ্যাকাউন্ট। যাঁদের নামে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল, তাঁরা কিছুই জানতেন না। সিবিআইয়ের দাবি, এমনটাই উঠে এসেছে তাদের তদন্তে।
সম্প্রতি বীরভূম জেলা সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে ১৭৭টি ভুয়ো অ্যাকাউন্টের খোঁজ পান সিবিআই আধিকারিকেরা। বৃহস্পতিবার আসানসোল আদালতে সিবিআই দাবি করে যে, এমন আরও অনেক ভুয়ো অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হয়েছে।
এ রকমই এক ‘ভুয়ো’ অ্যাকাউন্টের মালিক বীরভূমের নানুরের কালিকাপুর এলাকার বাসিন্দা প্রভাত দাস। তিনি পেশায় দরজি। কীর্ণাহারে তাঁর দোকান রয়েছে। প্রভাতের দাবি, প্রায় এক বছর আগে হঠাৎ করে তাঁর কাছে বেসরকারি ব্যাঙ্কের একটি চেক আসে। তখন তিনি বুঝতে পারেননি, অ্যাকাউন্টটি আদতে কার। কী ভাবে সেখানে থেকে চেক এল।
প্রভাতের দাবি, অক্ষয় থানদার নামে এক ব্যক্তি বেকার ভাতা পাইয়ে দেবেন বলে তাঁর থেকে নথিপত্র নিয়ে গিয়েছিলেন। পরে প্রভাত জানতে পারেন এই বেসরকারি ব্যাঙ্কে তাঁর অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। অ্যাকাউন্টে নাম প্রভাতের। কিন্তু মোবাইল নম্বর তাঁর নয়। প্রভাতের দাবি, ওই অ্যাকাউন্ট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ট্রানজাকশন হয়েছে। এই অক্ষয় কীর্ণাহারের রাইস মিলের মালিক সিদ্ধার্থ মণ্ডলের গাড়িচালক। তিনি আবার অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। সিদ্ধার্থ সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, তাঁর চালক এ সব করলেও তিনি কিছু জানেন না।