৭৮ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রচার
রাত পোহালেই আসানসোলে পুরভোট। তা উপলক্ষে পুলিশ ও প্রশাসনের তরফে নানা পদক্ষেপ করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিটি বুথে সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী, সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে। ধাদকা পলিটেকনিক কলেজে তৈরি করা হয়েছে সিসিটিভি-র কন্ট্রোল রুম। পাশাপাশি, ৪৬৬টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে বুথের সংখ্যা ১,১৮২টি। প্রতিটি বুথকেই ‘স্পর্শকাতর’ হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে।
কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বার ১০৬টি ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪২৮ জন প্রার্থী। ১০৬টি সেক্টর কার্যালয় তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি সেক্টরে এক জন করে সেক্টর অফিসার ও এক জন করে সহকারী সেক্টর অফিসার থাকছেন। ভোট পরিচালনার জন্য পাঁচ জন সাধারণ পর্যবেক্ষক ও দু’জন বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। মহকুমা নির্বাচনী আধিকারিক তথা মহকুমাশাসক (আসানসোল) অভিজ্ঞান পাঁজা বলেন, “ভোট সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতে যাবতীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে।”
কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে প্রতিটি বুথে দু’জন করে সশস্ত্র পুলিশ কর্মী থাকবেন। যে সব ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে তিনের বেশি বুথ থাকবে, সেখানে চার জন সশস্ত্র পুলিশকর্মীকে মোতায়েন করা হবে। ভোট নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে প্রায় চার হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে। পূর্ব বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম, দুই মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া থেকে পুলিশ বাহিনী আনা হয়েছে। আজ, শুক্রবার দুপুর থেকেই প্রত্যেক বুথে পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হবে। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট জানিয়েছে, ৭৫ জন আধিকারিক, ৬০০ জন এসআই এবং ৩,১৪২ জন কনস্টেবল মোতায়েন করা হচ্ছে। তিন থেকে পাঁচটি সেক্টরের নজরদারির জন্য পুলিশের একটি করে ‘রেসপন্স টিম’ থাকবে। যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে প্রত্যেক থানা এলাকায় পুলিশের দু’টি করে ‘কুইক রেসপন্স টিম’ মোতায়েন থাকবে। এ ছাড়া, ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত শহরাঞ্চলের প্রত্যেক রাস্তায় একাধিক পুলিশের জিপ টহল দেবে। পুলিশ কমিশনার সুধীরকুমার নীলাকান্তম বলেন, “কমিশনের নির্দেশ মেনে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কোনও অশান্তি বরদাস্ত করা হবে না। সাধারণ মানুষ নির্ভয়ে ভোট দেবেন।”