প্রতীকী ছবি।
ছাত্রীরা বেশ কিছু দিন ধরেই অভিযোগ করছিলেন, স্কুলে যাওয়া-আসার পথে কিছু যুবক তাদের নিয়মিত উত্ত্যক্ত করে। স্কুলের গেটের সামনে এসেও বসে থাকে তারা। স্কুল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ জানানোর পরে সাদা পোশাকের মহিলা পুলিশকর্মীরা ফাঁদ পেতে গ্রেফতার করলেন পাঁচ ‘রোমিয়ো’কে। সোমবার পুলিশ এই ব্যবস্থা নেওয়ায় তাঁরা খুশি বলে জানান কাঁকসা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও পড়ুয়ারা।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক দিন ধরেই যাতায়াতের পথে কিছু বহিরাগত যুবক তাদের পিছু নিচ্ছে বলে অভিযোগ জানাচ্ছিল ছাত্রীরা। তাদের লক্ষ করে তারা নানা রকম অশালীন মন্তব্যও করছিল বলে অভিযোগ। এমনকি, ছাত্রীরা স্কুলে ঢুকে যাওয়ার পরে গেটের সামনে ওই যুবকেরা বসে থাকছিল, জানান স্কুল কর্তৃপক্ষ। অভিভাবকদের একাংশের দাবি, এই ঘটনার ছাত্রীদের কেউ-কেউ স্কুলে আসা বন্ধ করে দেন। ছাত্রীদের কাছে অভিযোগ পেয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ সতর্ক হন। গেট থেকে যুবকদের সরে যেতে বলা হয়। খবর দেওয়া হয় কাঁকসা থানায়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্তদের হাতেনাতে ধরতে মহিলা কর্মীদের কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ দিন সাদা পোশাকের মহিলা পুলিশকর্মীরা স্কুলের সামনে অপেক্ষা করছিলেন। অভিযোগ, ওই যুবকেরা ছাত্রীদের পাশাপাশি, তাঁদেরও উত্ত্যক্ত করতে শুরু করে। তখনই তাদের ঘিরে ধরেন পুলিশকর্মীরা। ধরা পড়ে পাঁচ যুবক।
স্কুলের নবম শ্রেণির এক ছাত্রী বলে, ‘‘স্কুলে যাতায়াত করতে ভয় লাগছিল। এ বার দুশ্চিন্তামুক্ত হলাম।’’ এক অভিভাবক শেখ বাপির কথায়, ‘‘মেয়েদের স্কুলে পাঠিয়ে বাবা-মায়েরা দুশ্চিন্তায় থাকছিলেন। পুলিশ যা ব্যবস্থা নিয়েছে, আমরা খুশি।’’ স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সুমনা দে বলেন, ‘‘কয়েকদিন ধরে ইভটিজ়ারেরা ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করছিল। এ দিন পুলিশ তাদের ধরেছে। ছাত্রীরা নিশ্চিন্ত হল। আমরাও স্বস্তি পেলাম।’’
ডিসি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্ত জানান, স্কুলের কাছ থেকে বিষয়টি জানার পরেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেছে পুলিশ।