প্রতীকী ছবি।
মেয়েকে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলেন মা। মেয়ে আগে রাস্তা পার হয়ে গেলে, তড়িঘড়ি পার হতে যান তিনি। আচমকা কিশোরী মেয়ের সামনে ডাম্পারে পিষে মারা গেলেন ওই মহিলা।
বর্ধমানের নবাবহাটের কাছে জাতীয় সড়কে শুক্রবার ওই দুর্ঘটনায় মৃত রূপা সরকার (৪১) দেওয়ানদিঘি থানার তেঁতুলিয়া-দাসপুর এলাকার বাসিন্দা। বছরখানেক আগে স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে মেয়েকে নিয়ে তিনি একাই থাকতেন বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার জেরে জাতীয় সড়কের একটি লেনে কিছুক্ষণ যান চলাচল ব্যহত হয়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন নবাবহাটের কাছে একটি টাউনশিপের মধ্যে থাকা নার্সিংহোমে ডাক্তার দেখাতে আসছিলেন রূপাদেবী। ফেরার পথে টাউনশিপের মূল দরজার সামনে থেকেই জাতীয় সড়ক পার হয়ে নবাবহাট বাসস্ট্যান্ডের দিকে যাচ্ছিলেন। মেয়ে দ্রুত রাস্তা পার হয়ে গেলে তিনিও পার হতে যান। তখনই গলসির দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগতির ডাম্পার তাঁকে ধাক্কা মারে বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
চোখের সামনে পুরো ঘটনাটি দেখে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে ১৩ বছরের রিয়া। কোনও কথা বলতে পারছেনা সে। তাঁদের এক প্রতিবেশী সুফিওর রহমান মল্লিক জানান, ডাক্তার দেখানোর জন্য প্রয়োজনীয় কিছু কাগজ তিনি সঙ্গে নিতে ভুলে গিয়েছিলেন। তাই ফিরে আসছিলেন। তখনই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরেই ডাম্পারের চালক পালায়। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা খালাসি ও গাড়িটিকে আটক করেন। পুলিশ এসে থানায় নিয়ে যায় তাঁদের। দেহ সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে আধ ঘণ্টার বেশি সময় লাগে।