নজরদারি। নিজস্ব চিত্র
পুজোর মরসুমে বাড়ছে ট্রেন। স্বাভাবিক ভাবেই পূর্ব রেলের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাটোয়া স্টেশনে বাড়বে লোকজনের আনাগোনাও। এই পরিস্থিতিতে পুজোর মরসুমে স্টেশনের নিরাপত্তায় বিশেষ নজর দেওয়ার কথা জানিয়েছে
পূর্ব রেল।
এই স্টেশনে ফি দিন বেশ কিছু দূরপাল্লা ও লোকাল ট্রেন যাতায়াত করে। নিত্য আসাযাওয়া করেন কয়েক হাজার মানুষ। পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়া— এই চার জেলার মধ্যে সংযোগ রক্ষার্থেও এই স্টেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অথচ, এই স্টেশনে অতীতে বেশ কয়েক বার অপরাধমূলক কাজকর্মের ঘটনা সামনে এসেছে বলে রেল পুলিশ সূত্রে জানা যায়। যেমন, বছর দেড়েক আগে কাটোয়া-বল্লভপাড়া ফেরি-পথ দিয়ে গাঁজা পাচার করার উদ্দেশ্য ছিল তিন মহিলা-সহ পাঁচ জনের। কামরূপ মেল ট্রেন থেকে সেই বিপুল পরিমাণ গাঁজা নামানোর জন্য ওই পাঁচ জন স্টেশনের সাত নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়েছিলেন বলে রেল পুলিশ জানিয়েছিল। সেই ঘটনায় পাঁচ জনকেই গ্রেফতার করা হয়। তা ছাড়া, খাগড়াগড়-কাণ্ডের সময়েও জঙ্গিরা কাটোয়া স্টেশনকে যাতায়াতের ব্যবহারের জন্য ব্যবহার করেছিল বলে তদন্তে উঠে আসে। এই পরিস্থিতিতেই নিরাপত্তা সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ করার কথা জানিয়েছে রেল। রেল জানায়, যাত্রী নিরাপত্তায় জোর দিতে প্রতিনিয়ত সশস্ত্র পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকের পুলিশ নজরদারি চালাবে। ট্রেনের কামরা, প্ল্যাটফর্মেও থাকবে কড়া নজরদারি। পাশাপাশি, সন্দেহজনক কিছু বা কাউকে দেখলেই চালানো হবে তল্লাশি।
বিষয়টি নিয়ে স্টেশন ম্যানেজার অরূপ সরকার বলেন, ‘‘বছরভরই নিরাপত্তা নিয়ে আমরা বিশেষ গুরুত্ব দিই। পুজোয় যাত্রী সংখ্যা, ট্রেন বাড়ে। ফলে, নিরাপত্তায় আরও জোর দেওয়া হচ্ছে। জিআরপি ও আরপিএফের হেড কোয়ার্টার রয়েছে এখানে। নিরাপত্তাতেও কোনও ফাঁকফোঁকর নেই।’’