বর্ধমানে বৈঠক। নিজস্ব চিত্র
রবি ও বোরো চাষের জন্য ডিভিসি-র জল ছাড়া নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক হয়ে গেল সোমবার। বর্ধমানের সার্কিট হাউসে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সেচ দফতরের সুপারিন্টেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার দেবাশিস পড়ুয়া, জেলাশাসক (পূর্ব বর্ধমান) এনাউর রহমান, জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া-সহ পাঁচ জেলার আধিকারিক ও প্রশাসনের কর্তারা। বৈঠকে ঠিক হয় রবি চাষে জল দেওয়া হবে ২৬ ডিসেম্বর থেকে। আর বোরো চাষের জন্য জল মিলবে ২৭ জানুয়ারি থেকে। জল দেওয়া হবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত।
পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, হুগলি ও হাওড়া জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা বৈঠকে হাজির ছিলেন। দেবাশিসবাবু জানান, গত বছরের থেকে এ বার জল দেওয়ার বিষয়ে বিশেষ কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না। চাহিদামতো জলের জোগানও রয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘মোট তিন লক্ষ ৯০ হাজার একর ফিট জল পাওয়া সম্ভব। এর দ্বারা এক লক্ষ ২৭ হাজার ৫০ একর জমি জল পাবে।’’ বৈঠকের শেষে সভাধিপতি শম্পা ধাড়া জানান, এ বারে কিছুটা তাড়াতাড়ি এই বৈঠক হল। চাষির এই খবরের দিকে তাকিয়ে থাকেন। তাঁর আশ্বাস, ‘‘এই মরসুমে এ জেলায় মোট ৭৮ হাজার একরে চাষিরা জল পাবেন।’’ জেলাশাসক এনাউর রহমানও জানান, আশা করা যায় জল পেতে সমস্যা হবে না। সেচ দফতরের দাবি, রবি মরসুমে প্রায় এক মাস জল দেওয়া হবে। প্রতি ক্ষেত্রে তিন দিন জল দেওয়ার পরে, কিছু দিনের বিরতি দেওয়া হবে।