Arrest

কাজের টোপে বাংলাদেশের নাবালিকা দুর্গাপুরে, ধৃত ৩

আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি বলেন, “নারী পাচার ও পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, নাবালিকাটি বাংলাদেশের বাসিন্দা।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০২৩ ০৬:৫৮
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

কাজের টোপ দিয়ে বাংলাদেশের বছর চোদ্দোর এক নাবালিকাকে পাচারের অভিযোগে এক দম্পতি-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করল পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর থানার পুলিশ। সোমবার দুর্গাপুরের কাদা রোডে যৌনপল্লি থেকে তাদের ধরা হয়। পুলিশ জানায়, ধৃত দম্পতি সাইনুর বিবি ও শেখ মুস্তাক পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর এবং পাপ্পু রজক দুর্গাপুরের ভিড়িঙ্গি বস্তির বাসিন্দা। আজ, বুধবার আদালতে নাবালিকার গোপন জবানবন্দি নেওয়ার পরে তাকে হোমে পাঠানো হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি (দুর্গাপুর) তথাগত পাণ্ডে বলেন, “নারী পাচার ও পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, নাবালিকাটি বাংলাদেশের বাসিন্দা।” তবে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মেয়েটির কাছে এখনও কোনও পরিচয়পত্র এবং এ দেশে আসার বৈধ নথি মেলেনি। ফলে, সে বাংলাদেশের কোন এলাকার বাসিন্দা তা জানা যায়নি। ধৃতদের মঙ্গলবার আদালতে তোলা হলে চার দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ হয়।

পুলিশ জানায়, রবিবার রাতে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘দুর্বার’-এর সূত্রে খবর মেলে, এক নাবালিকাকে কাদা রোডের যৌনপল্লিতে আনা হয়েছে। পানাগড় থেকে কয়েক দিন আগেই সাইনুরও যৌনপল্লিতে এসেছিলেন। তার সূত্র ধরে ওই নাবালিকা কাদা রোডে আসে বলে অভিযোগ। দুর্বার সূত্রের দাবি, ওই নাবালিকার সঙ্গে কথা বলে কিছু অসঙ্গতি ধরা পড়ে। সন্দেহ হওয়ায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ওই নাবালিকা ও সাইনুরকে আটক করে। দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুরো বিষয়টি সামনে আসে বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়।

Advertisement

পুলিশের দাবি, বাংলাদেশের ওই নাবালিকা কাজের খোঁজ করছিল। সে দেশে এক ব্যক্তির সঙ্গে তার আলাপ হয়। সেই ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ ছিল কেশপুরের মুস্তাকের। মুস্তাক মেয়েটিকে বেকারিতে কাজের খোঁজ দেয় বলে দাবি। এর পরেই মেয়েটি দক্ষিণ ভারতে কর্মরত বাংলাদেশের এক মহিলার সঙ্গে ভারতে আসে বলে পুলিশ জেনেছে। ওই মহিলাই মুস্তাকের হাতে তুলে দেয় নাবালিকাকে।

পুলিশের দাবি, তদন্তে জানা যাচ্ছে, মুস্তাক ও সাইনুর পানাগড় গ্রামের ডাঙাপাড়ার এক ভাড়াবাড়িতে গত তিন মাস ধরে থাকছিল। সেখানেই ঠাঁই হয় ওই নাবালিকার। এর পরে ওই মেয়েটিকে পাপ্পু যৌনপল্লিতে নিয়ে আসে বলে অভিযোগ। সাইনুরের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার রাতে পানাগড় থেকে মুস্তাক ও ভিড়িঙ্গি বস্তি থেকে পাপ্পুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় সাইনুরকেও। এসিপি তথাগত জানান, বিষয়টি বাংলাদেশ হাইকমিশনকে জানানোর
তোড়জোড় চলছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement