পরে, বড়শুলে ও নীচে কালনায় পুজোর উদ্বোধনে। নিজস্ব চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলার সাতটি পুজোর ‘ভার্চুয়াল’ মাধ্যমে উদ্বোধন করার সঙ্গেই পুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে গেল পূর্ব বর্ধমানে। বৃহস্পতিবার বর্ধমান শহরের দু’টি-সহ জেলার নানা প্রান্তের ওই পুজোগুলির উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী।
বর্ধমানের জিটি রোডের উপরে লাল্টু স্মৃতি সঙ্ঘ ও সবুজ সঙ্ঘের পুজোর উদ্বোধন হয় এ দিন। সবুজ সঙ্ঘের মণ্ডপে ছিলেন জেলাশাসক বিজয় ভারতী, পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়-সহ পুলিশ-প্রশাসনের আধিকারিকেরা। লাল্টু স্মৃতি সঙ্ঘের মঞ্চে ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক অরিন্দম নিয়োগী, বর্ধমান থানার আইসি পিন্টু সাহারা। লাল্টু স্মৃতি সঙ্ঘের কর্তা তন্ময় সামন্ত, সবুজ সঙ্ঘের বাপি বসুরা জানান, মুখ্যমন্ত্রী পুজো উদ্বোধন করায় তাঁরা আপ্লুত। প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করে স্বাস্থ্য-বিধি মেনে পুজো করা হবে বলে তাঁদের আশ্বাস। পুলিশ সুপার জানান, পুজো সংক্রান্ত নিয়মনীতি এ দিন থেকেই চালু হয়ে গেল। তবে এ বার শহরে ছোট গাড়ির ক্ষেত্রে কোনও বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে না। জেলাশাসক বিজয় ভারতী বলেন, ‘‘সকলকে অনুরোধ, স্বাস্থ্য-বিধি মেনে, ‘মাস্ক’ পরে এ বার পুজো কাটান।’’
বর্ধমান ২ ব্লকের উন্নয়নীর জাগরণী সঙ্ঘের পুজোর উদ্বোধনও এ দিন করেন মুখ্যমন্ত্রী। পুজো কমিটির কর্তা শেখ তাজেম আলি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে দর্শনার্থীদের জন্য প্রবেশপথে নিদিষ্ট দূরত্ব দাঁড়ানো, স্বয়ংক্রিয় স্যানিটাইজ়ার গেট, মণ্ডপে ঢুকতে ‘মাস্ক’ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। এ দিন পুজো উদ্বোধনে ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) রজত নন্দ, বিধায়ক নিশীথ মালিক, ডিএসপি (সদর) শৌভিক পাত্র, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শ্যামল দত্ত, বিডিও অদিতি বসুরা।
মেমারি সারদাপল্লি অরবিন্দপল্লি পুজার উদ্বোধনে ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক প্রবীর চট্টোপাধ্যায়, এসডিপিও আমিনুল ইসলাম খান, বিধায়ক নার্গিস বেগমেরা। ঢাকের বোল, শঙ্খ ও উলুধ্বনিতে পুজো উদ্বোধন হয়। কালনার পুরনো বাসস্ট্যান্ড বারোয়ারি ব্যবসায়ী সমিতির পুজো এবং নসরতপুরের ইন্দ্রপল্লি বারোয়ারি পুজোর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। কাটোয়ার জাজিগ্রাম মোড়ের নবোদয় সর্বজনীন পুজোর উদ্বোধনও করেন তিনি। হাজির ছিলেন পুলিশ-প্রশাসনের আধিকারিকেরা।