অভিজিৎ চৌধুরী। নিজস্ব চিত্র।
ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় এ বার রাজ্যের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা অভিজিৎ চৌধুরীকে সিবিআই তলব করল। বুধবার তাঁকে দুর্গাপুরের অস্থায়ী দফতরে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। সেখান থেকে বেরিয়ে চিকিৎসক অভিজিতের কটাক্ষ, ‘‘যেখানে মহামানবেরা ঘুরে বেড়ান, সেখানে আসতে পেরেছি, এটা আমি জীবনের অন্যতম প্রাপ্তি বলে মনে করছি।’’
বুধবার বেলা ১১টা নাগাদ দুর্গাপুরে সিবিআইয়ের অস্থায়ী দফতরে পৌঁছন অভিজিৎ। দুপুর ১টা নাগাদ সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেরিয়ে যান তিনি। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিজিৎ বলেন, ‘‘খুনখারাপির মামলায় আমাকে ডাক কেন, তা ভেবে আমি পুলকিত। এত খুনের মাঝখানে আমি কী ভূমিকায় থাকতে পারি, এটা ভেবে আমি চমকে গিয়েছি। হাঙর ধরতে গিয়ে ওঁরা শোল-বোয়াল ধরে ফেলেছেন। ওঁরা যে সময় নিয়ে কথা বলছেন, ঘটনাচক্রে ওই সময়ে আমার ফোনে কোনও এক রাজনৈতিক নেতার ফোন এসেছিল। ওঁদের প্রশ্ন, ওই ফোনের সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক সম্পর্ক আছে কি না? আমি স্পষ্ট করে দিয়েছি, ডাক্তারের কাছে শুধু দেবতারাই আসেন না, ডাকাতও আসেন। রাজনৈতিক নেতারা তো আসেনই।’’
কটাক্ষের সুরে রাজ্যের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘‘কোনও রাজনৈতিক নেতার নাম করতে আমি আগ্রহী নই। অনেক রাজনৈতিক নেতা ফোন করেন। যে হেতু আমরা মানুষের সঙ্গে কাজ করি। কারও না কারও সঙ্গে তো কথা হয়েছিল। সেই জন্য ওঁরা আমাকে ডেকেছিলেন। আমি সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছি। এই পুণ্যভূমি, এই ব্রজধামে আসতে পেরে আমি পুলকিত। যেখানে মহামানবেরা ঘুরে বেড়ান সেখানে আসতে পেরেছি, এটা আমি জীবনের অন্যতম প্রাপ্তি বলে মনে করছি।’’