ফের আদালতের দ্বারস্থ কাঞ্চন মল্লিক এবং পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়।
ফের আদালতের দ্বারস্থ অভিনেতা-বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক। স্ত্রী পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করেছেন তিনি। জানিয়েছেন, স্ত্রী পিঙ্কি নাকি তাঁকে তাঁর ছেলের সঙ্গে দেখা করতে দিচ্ছেন না। বিচ্ছেদের মামলা চলছিলই। ছেলের সঙ্গে দেখা করার বিষয় নিয়ে নতুন করে পিঙ্কির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন কাঞ্চন। ২৮ জুন তার শুনানি।
বিধানসভায় যাওয়ার পথে আনন্দবাজার অনলাইনকে কাঞ্চন বলেন, ‘‘অনেক দিন ধরেই বিচ্ছেদের মামলা চলছে। সচরাচর আমি আদালতে যাই না। আজও যাই না। আমার উকিল আমার হয়ে সব কথা বলেছেন। ছেলেকে দেখতে পাই না। তাই বাবা হিসেবে কর্তব্যপালনে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।’’
এই প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল পিঙ্কির সঙ্গে। অভিনেত্রী জানান, বিবাহবিচ্ছেদ চেয়ে তাঁরা দু’জনেই ইতিমধ্যে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। তিনি বলেন, “ছেলেকে কাঞ্চনের সঙ্গে দেখা করতে দিচ্ছি না, বিষয়টা একেবারেই তেমন নয়। এর বেশি এই মুহূর্তে আমি কিছু বলতেও পারব না। যা বলার দু’পক্ষের উকিল বলবেন।” পিঙ্কি জানিয়েছেন, সকলে যাতে শান্তিতে থাকে, সেই লক্ষ্যেই বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। তাঁর কথায়, ‘‘ছেলে আমার কাছেই থাকে। লেখাপড়াতেও খুব ভাল। ছবি, ধারাবাহিকের কাজ করেও ছেলেকে সময় দিই। নিজেই পড়াই।’’
কৃষ্ণকলি-খ্যাত টেলি অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন কাঞ্চন। গত বছর এমনই খবর ঘুরপাক খেয়েছিল রাজনীতি থেকে টলিপাড়ার বিভিন্ন মহলে। এই বিষয়ে আনন্দবাজার অনলাইনের লাইভে মুখ খু্লেছিলেন অভিনেতার স্ত্রী পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন, “দু'জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ প্রেম করবেন, তা তাঁদের ব্যক্তিগত বিষয়। তবে অনুরোধ, বিয়েটাকে যেন বেড়া হিসেবে ব্যবহার না করা হয়।”
অন্য দিকে, শ্রীময়ী জানিয়েছিলেন, তাঁর সঙ্গে কাঞ্চনের পরিবারের বহু দিনের সম্পর্ক। যার পাল্টা পিঙ্কির দাবি ছিল, শ্রীময়ীকে তিনি চেতলার বাড়িতে এক বারই দেখেছেন। পিঙ্কি তখন বলেন, “বিগত আট-নয় বছর স্বামীকে নিয়ে কখনও কিছু বলিনি। তবে এখন ধৈর্যের বাঁধ ভেঙেছে।’’
এ বার কি সত্যি পাকাপাকি বিচ্ছেদের দিকে হাঁটবেন দম্পতি? পিঙ্কি যে বিচ্ছেদেই শান্তি দেখতে পাচ্ছেন, তা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।