land dispute

জাহের থানের জমি বিক্রির চেষ্টা, নালিশ প্রশাসনের কাছে

অভিযোগের পক্ষে গণসই সংগ্রহ করা হচ্ছে বলে জানান তাঁরা। ইতিমধ্যেই বিডিও (রানিগঞ্জ) অভীক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বিষয়টি নিয়ে ই-মেল করে অভিযোগ জানানো হয়েছে বলে জানান তাঁরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রানিগঞ্জ শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২০ ০২:২৯
Share:

এই জমি নিয়েই বিতর্ক। নূপুর গ্রামে। নিজস্ব চিত্র

আদিবাসীদের ধর্মীয় স্থান ‘জাহের থান’-এর জমি বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা করছে ‘জমি মাফিয়া’ বলে পরিচিত স্থানীয় কয়েকজন। এমনই অভিযোগ রানিগঞ্জের নূপুরের আদিবাসী বাসিন্দাদের একাংশের। অভিযোগের পক্ষে গণসই সংগ্রহ করা হচ্ছে বলে জানান তাঁরা। ইতিমধ্যেই বিডিও (রানিগঞ্জ) অভীক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বিষয়টি নিয়ে ই-মেল করে অভিযোগ জানানো হয়েছে বলে জানান তাঁরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই গ্রামে ৩০টি আদিবাসী পরিবারের বসবাস। ওই সব পরিবারগুলির সদস্যেরা সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেন, তাঁদের পূর্বপুরুষেরা প্রায় আট দশক আগে গ্রাম লাগোয়া বেসরকারি খনিতে কাজ করতেন। পরে, সেখানে বসবাস শুরু করেন। সেখানেই রামশোকা পুকুরের পাড়ের কাছে জাহের থান তৈরি করা হয়। কিন্তু সেখানে স্থায়ী পরিকাঠামো তৈরি হয়নি। ২০১৯-এ সালে সিধো-কানহোর শহিদ দিবসে সেখানে বেশ কিছু চারা পোঁতা হয়েছিল। কিন্তু গাছগুলি কয়েক ফুট লম্বা হওয়ার পরে, দুষ্কৃতীরা সেগুলি কেটে নষ্ট করে দেয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দা শীতল টুডু, নূপুর হাঁসদা, সোনামুণি মুর্মুদের অভিযোগ, ‘‘লাগোয়া এলাকায় একটি পরিবারের দেবোত্তর সম্পত্তি বিক্রি করা হয়ে গিয়েছে। জাহের থানের জমির মাপজোক করে তা বিক্রির চেষ্টা করছে জমি মাফিয়াদের একাংশ। গণসই সংবলিত স্মারকলিপি জেলা প্রশাসনের কাছে জমা দেওয়া হবে।’’ তাঁরা জানান, এই ‘জমি মাফিয়া’রা স্থানীয় এবং পরিচিত। দীর্ঘদিন ধরে এরা জমির দালালির সঙ্গে জড়িত।
এ দিকে, বাঁশড়া এসিটিডি ক্লাবের সম্পাদক সঞ্জয় হেমব্রম জানান, তাঁরা সাংগঠনিক ভাবে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে জেলার শ’দুয়েক জাহের থানের পাট্টা দেওয়া এবং পরিকাঠামো উন্নয়নের ব্যবস্থা করার আর্জি জানিয়েছিলেন। চলতি বছরের ১৫ জুন সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক দফতরের মাধ্যমে তাঁরা জানতে পারেন, রাজ্য সরকার বিষয়টি খতিয়ে দেখে সেই মতো পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধীরাও। সিপিএম বিধায়ক রুনু দত্ত বলেন, ‘‘রানিগঞ্জে ইসিএল-সহ নানা সংস্থার জমি বিক্রির চেষ্টা করছে জমি মাফিয়ারা। এ বার আদিবাসীদের ধর্মীয় স্থানেও হাত দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিষয়টি ব্লক প্রশাসনকে (রানিগঞ্জ) জানিয়েছি।’’ বিডিও অভীকবাবু বলেন, ‘‘অভিযোগ খতিয়ে দেখে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement