বর্ধমানেশ্বরের আবির্ভাব দিবস উপলক্ষে জল ঢালতে রওনা দিচ্ছেন ভক্তেরা

রাজ্যের শিব মন্দিরগুলির মধ্যে অন্যতম বর্ধমানের আলমগঞ্জের বর্ধমানেশ্বর শিব মন্দির। বিশাল আকারের কারণে এই শিব ‘মোটা শিব’ বা ‘বুড়ো শিব’ নামেও পরিচিত।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কাটোয়া শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০২৪ ০৪:০১
Share:

—নিজস্ব চিত্র।

শনিবার ২৫ শ্রাবণ বর্ধমানেশ্বরের আবির্ভাব দিবস উপলক্ষে জল ঢালতে রওনা দিচ্ছেন ভক্তেরা। শুক্রবার সকাল থেকেই কাটোয়ার গঙ্গার ঘাটে ভক্তদের ভিড় দেখা গেল। কাটোয়ায় গঙ্গার ঘাটে স্নান করে বাঁকে করে গঙ্গাজল নিয়ে ৬০ কিলোমিটারেরও বেশি পথ পায়ে হেঁটে পুণ্যার্থীরা পৌঁছবেন বর্ধমানের আলমগঞ্জের মোটা শিব অর্থাৎ বর্ধমানেশ্বরের মাথায় জল ঢালতে।

Advertisement

রাজ্যের শিব মন্দিরগুলির মধ্যে অন্যতম বর্ধমানের আলমগঞ্জের বর্ধমানেশ্বর শিব মন্দির। বিশাল আকারের কারণে এই শিব ‘মোটা শিব’ বা ‘বুড়ো শিব’ নামেও পরিচিত। ১৯৭২ সালে এলাকায় পুকুর খোঁড়ার জন্য মাটি কাটার কাজ চলছিল। সেই সময় হঠাৎই পাথরের গায়ে গাঁইতির আঘাত লাগে। কৌতূহল বাড়ে শ্রমিকদের মধ্যে। ধীরে ধীরে খোঁড়া হয়। বার হয়ে আসে গৌরীপট্ট-সহ এই বিশাল আকারের শিবলিঙ্গ। এই শিবলিঙ্গের উচ্চতা প্রায় ছ’ফুট। ওজন ১৩ টনেরও বেশি। গোটাটাই একটিই কালো পাথর নিপুণ ভাবে কেটে তৈরি। ক্রেনে করে তুলে স্থাপন করা হয় সেই শিবলিঙ্গ। রয়েছে দুধপুকুর। সেই পুকুরে স্নান সেড়ে পুজো দেন ভক্তেরা। শ্রাবণ মাসে পাওয়া গিয়েছিল। তাই সেই মাসে এই শিবের আবির্ভাব দিবস পালন করা হয়।

বর্ধমানের নীলপুরের বাসিন্দা কার্তিক দাস বলেন, ‘‘বাবার মাথায় জল ঢালার এই রীতি ২০১২ সাল থেকে চলে আসছে। আসতে আসতে ভক্তদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে পেতে এখন কয়েক লক্ষ ভক্ত বাবার মাথায় জল ঢালতে ভিড় জমান বর্ধমানের আলমগঞ্জে। প্রত্যেক বছরই নির্দিষ্ট অর্থাৎ ২৫ শ্রাবণ বাবার আবির্ভাব দিবসে জল ঢালতে যান ভক্তেরা। কাটোয়ায় জল ভরে যাওয়ার পথে বিভিন্ন জায়গায় পুণ্যার্থীদের সেবার ব্যবস্থা করেন অনেক মানুষ।’’

Advertisement

বর্ধমানের কার্জনগেট চত্বরে ভক্তদের সহায়তার জন্য বিধায়ক খোকন দাসের উদ্যোগে সহায়তা কেন্দ্র খোলা হচ্ছে। অন্য দিকে শুক্রবার সকালে বর্ধমানের বাজেপ্রতাপপুরে ডিজে বাজিয়ে ভক্তেরা গাড়ি করে যাওয়ার পথে পুলিশ তাঁদের সর্তক করে। জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপের নির্দেশে দেওয়ানদীঘি থানার পুলিশ ভক্তদের তারস্বরে ডিজে বাজাতে মানা করা হয়। তবে পুলিশ নির্দেশ অমান্য করেই কার্যত ভক্তদের একাংশ তারস্বরে ডিজে বাজিয়ে কাটোয়ার উদ্দেশে রওনা দেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement