Death News

ছাত্রী খুনে পুলিশের হাতে অডিয়ো ক্লিপ

মঙ্গলবার রাতে একটি কচুবন থেকে ছাত্রীর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবার সূত্রে পুলিশ জানতে পারে, সোমবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ তিনি একটি ফোন পেয়ে ছাত্রীটি বাড়ি থেকে বেরোন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বার্নপুর শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২৩ ০৭:০৯
Share:

বার্নপুরে ছাত্রী মৃত্যু ঘটনা। প্রতীকী চিত্র।

ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রী খুনের তদন্তে নেমে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ ১১ মিনিটের একটি অডিয়ো ক্লিপের (সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার) হদিস পেয়েছে বলে সূত্রের খবর। তাতে ওই ছাত্রীর সঙ্গে এক ব্যক্তির মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কথোপকথন শোনা যাচ্ছে। রেকর্ডিংয়ে এক অভিযুক্তের নামও শোনা যাচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, এটির সূত্রে খুনের ঘটনার কিনারা করার চেষ্টা হচ্ছে। তবে, বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত এ ছাড়া আর কোনও তথ্য মেলেনি। এ দিকে, এ দিনও যে এলাকায় দেহ উদ্ধার হয়েছিল, সেই ১২ নম্বর নিউটাউন এলাকা ছিল থমথমে।

Advertisement

মঙ্গলবার রাতে একটি কচুবন থেকে ছাত্রীর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবার সূত্রে পুলিশ জানতে পারে, সোমবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ তিনি একটি ফোন পেয়ে ছাত্রীটি বাড়ি থেকে বেরোন। ঘণ্টাখানেক পরেও বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাঁর সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। কিন্তু মোবাইল বন্ধ ছিল বলে দাবি। অথচ, যে রেকর্ডিংটি উদ্ধার হয়েছে, পুলিশের অনুমান, সেটি ওই রাতেরই কথোপকথন।

এই ঘটনায় সমীর মাড্ডি, সুমিতা হেমব্রম, রোহিত হাঁসদা নামে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রেকর্ডিংয়ে সুমিতার নাম শোনা যাচ্ছে। পুলিশ সূত্রে দাবি, কথোপকথনে ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রীটি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে জানাচ্ছেন, সুমিতা এক জনের কাছ থেকে দু’হাজার টাকা পাবেন। সুমিতা জন্ডিসে ভুগছেন। তিনি শয্যাশায়ী। তাই টাকা আনতে যেতে পারবেন না। সুমিতা ওই ছাত্রীকে অনুরোধ করেছেন, তিনি যেন টাকাটি নিয়ে বাড়িতে পৌঁছে দেন। সে টাকা আনার জন্যই তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়েছেন বলে ওই ছাত্রীকথোপকথনে জানাচ্ছেন।

Advertisement

এ ছাড়া, বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত নতুন কোনও সূত্র মেলেনি বলেই পুলিশ সূত্রে দাবি। কমিশনারেটের ডিসি (পশ্চিম) অভিষেক মোদী বলেন, “তদন্ত চলছে। নতুন কোনওসূত্র মেলেনি।”

এ দিকে, ওই ছাত্রী যে গ্রামের বাসিন্দা, এ দিনও সেখানে থমথমে পরিবেশ দেখা গিয়েছে। তবে মৃতের পরিবারের কেউ এখন গ্রামে নেই। বুধবার রাতেই তাঁরা সপরিবার দেশের বাড়িতে চলে গিয়েছেন। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, ধৃত সমীর মাড্ডিকে আগেও এলাকায় দেখা গিয়েছে। তবে রোহিতকে তাঁরা চিনতে পারছেন না, দাবি স্থানীয়দের। এ দিন নেপালিপাড়া বিপিএল কলোনি এলাকায় সুমিতার বাড়িতে কেউ দরজা খুলে বেরোননি।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের বিরুদ্ধে আগে কোনও অপরাধের অভিযোগ নেই। ১২ নম্বর নিউটাউন এলাকার যে কচুবন থেকে মঙ্গলবার রাতে ছাত্রীর দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ, বৃহস্পতিবারও সে এলাকার বাসিন্দাদের আতঙ্ক কাটেনি। স্থানীয় প্রৌঢ়া নমিতা দত্ত বলেন, “সকাল-বিকেল আমরা ওই ফাঁকা জায়গায় পায়চারি করি। এখন খুব ভয়ে আছি।” ঘটনাস্থল বাঁশ ও ফিতে দিয়ে ঘিরে রেখেছে পুলিশ। দু’জন সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েনকরা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement