এখনও হুঁশ ফেরেনি। রণডিহা লকগেটে। নিজস্ব চিত্র
দামোদরে নামা নিষেধ। তবুও জলে নেমে স্নান, বিপজ্জনক ভাবে ঘোরাফেরার ফলে ঘটছে দুর্ঘটনা। সম্প্রতি বুদবুদের রণডিহা লকগেটের কাছে এক যুবকের মৃত্যুর পরে, ফের নজরদারির অভাবকেই দায়ী করেছেন স্থানীয়দের একাংশ।
বুদবুদের চাকতেঁতুল পঞ্চায়েতের রণডিহার পাশ দিয়েই বয়ে গিয়েছে দামোদর। এখানে একটি লকগেটও রয়েছে। প্রতিদিন বহু মানুষ নদ পেরিয়ে বাঁকুড়ার নানা প্রান্তে যাওয়া-আসা করেন। এখানে রয়েছে ফেরিঘাটও। প্রতিদিন বাইরে থেকে বহু মানুষ রণডিহায় ঘুরতে আসেন। এলাকাবাসী জানান, শীতে অনেকেই এখানে পিকনিক করতে আসেন। বছরের অন্য সময়েও থাকে মানুষের আনাগোনা। কেউ কেউ মাছ কিনতেও এলাকায় আসেন।
কিন্তু সমস্যা দেখা দিয়েছে বিপজ্জনক জায়গায় ঘুরে বেড়ানোর ফলে, দাবি এলাকাবাসীর একাংশের। তাঁরা জানান, রবিবার সন্ধ্যায় দুর্গাপুরের গোপালমাঠের পাঁচ যুবক এখানে ঘুরতে আসেন। এক জন দামোদরে তলিয়ে গিয়ে মারা যান। প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, সন্ধ্যায় দামোদরের পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময়ে তিনি জলে পড়ে যান। স্রোত বেশি থাকায় বিপত্তি ঘটে। শুধু এই ঘটনায় নয়। বছর দু’য়েক আগে ওই লকগেটের নীচে পড়ে মৃত্যু হয় বাঁকুড়ার এক নাবালকেরও।
স্থানীয় বাসিন্দা অমিত লোহার, তন্ময় ঘোষেরা বলেন, “লকগেটের কাছে বহু মানুষ ঝুঁকি নিয়ে ঘুরে বেড়ান। ফলে, বিপদ ঘটে। তা ছাড়া দামোদরে জল কম থাকলেও, অনেকে লকগেটের তলা দিয়ে হেঁটে পারাপারের চেষ্টা করেন। এটাও ঝুঁকিপূর্ণ।” এলাকাবাসীর একাংশের অভিযোগ, অনেকে মদ্যপান করে জলে নামেন। তাতেও বাড়ছে বিপদ।
এই পরিস্থিতিতে, পুলিশ-প্রশাসনের নজরদারি আরও জোরদার করা হোক, এমনটাই চাইছেন বাসিন্দাদের একাংশ। চাকতেঁতুল পঞ্চায়েতের প্রধান অশোক ভট্টাচার্য বলেন, “আমরা চেষ্টা করছি মানুষকে সচেতন করার। পাশাপাশি, পুলিশের কাছেও নজরদারি বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে।” বুদবুদ থানা অবশ্য জানিয়েছে, নিয়মিত নজরদারি চলে। সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন থাকেন ওই এলাকায়। তবে নজরদারি আরও বাড়ানো হবে বলে পুলিশের আশ্বাস।