Stubble Burning

প্রচার চলছে, তবু খেতেই পুড়ছে নাড়া

প্রশাসন সূত্রে খবর, গলসি ১ ব্লকের সুন্দলপুর গ্রামে নাড়ার আগুনে পুড়ে গিয়েছে একটি ট্রাক্টর। বছর খানেক আগে গলসির গলিগ্রামে নাড়ার আগুনে পুড়েছিল কম-বেশি বিঘা খানেক জমির ধান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গলসি শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২২ ০৮:৫৬
Share:

গলসির জমিতে নাড়া পোড়ানো। নিজস্ব চিত্র

কোথাও নাড়ার আগুনে পুড়ছে জমির পাকা ধান। পুড়ছে ধান কাটার জন্য জমিতে রাখা ট্রাক্টর। নাড়া নোড়ানো রুখতে চলছে প্রচার। হচ্ছে পথনাটিকা। এত কিছু হলেও রোখা যাচ্ছে না নাড়া পোড়ানো। শীত পড়ার আগেই ফের জেলার অনেক জায়গা থেকে নাড়া পোড়ানোর খবর আসা শুরু হয়েছে।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রে খবর, গলসি ১ ব্লকের সুন্দলপুর গ্রামে নাড়ার আগুনে পুড়ে গিয়েছে একটি ট্রাক্টর। বছর খানেক আগে গলসির গলিগ্রামে নাড়ার আগুনে পুড়েছিল কম-বেশি বিঘা খানেক জমির ধান। গলসি ১ ও ২ ব্লকের গলসি, মসজিদপুর, ভূঁড়ি, শিড়রাই, পারাজ-সহ অনেক পঞ্চায়েত এলাকায় বৃহস্পতিবারও নাড়া পোড়ানোর ছবি ধরা পড়েছে বলে পঞ্চায়েত সূত্রে খবর। কোথাও আবার পাকা ধান ভরা জমির পাশের নাড়া জ্বলতে দেখা গিয়েছে। গলসির মসজিদপুর পঞ্চায়েতের আতুসী এলাকা নাড়ার ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছিল এ দিন। গলসি ২ পঞ্চায়েতের সভাপতি বাসুদেব চৌধুরী বলেন, “আমরা আতঙ্কে রয়েছি। এত প্রচার করেও মানুষকে সচেতন করতে পারছি না।” শিড়রাই পঞ্চায়েতের প্রধান শেখ আবদুস সামাদ বলেন, “দু’দিন আগেই আমাদের এলাকায় নাড়ার আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে একটি ট্রাক্টর। নাড়া পোড়ানো রুখতে গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় মাইকে প্রচার করেছি।”

কী বলছেন চাষিরা? সুন্দলপুর গ্রামের এক চাষির কথায়, “যন্ত্র দিয়ে ধান কাটা হচ্ছে। ধানগাছের অবশিষ্ট অংশ জমিতে পড়ে থাকছে। আলু চাষ করতে হবে। নাড়ার জন্য চাষ করা যাচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়েই নাড়া পোড়াতে হচ্ছে।” চাষিদের বক্তব্য, কৃষি দফতর চাইছে, নাড়া জলে পচুক। সেই জল মাটিতে মিশলে জমি উর্বকর হবে। কিন্তু আলু চাষের আগে তা হওয়া সম্ভব।

Advertisement

কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, চাষিরা যাতে নাড়া না পোড়ান, সেই লক্ষ্যে বিভিন্ন এলাকায় মাইক-প্রচার করা হচ্ছে। গলসির শিড়রাই গ্রামের চাষি সাবলু শেক, ইড়কোনা গ্রামের কার্তিক কোনারেরা বলেন, “প্রকৃতির সঙ্গে পরিবেশ এবং মাটিরও ক্ষতি হচ্ছে নাড়া পোড়ানোর জন্য। ধান পুড়ে যাচ্ছে। যন্ত্র পুড়ে যাচ্ছে। তার পরেও কিছু চাষি ইচ্ছা করে নাড়া পুড়িয়ে দিচ্ছে।” তাঁদের দাবি, প্রশাসনকে আরও কড়া হতে হবে। প্রয়োজনে আইনি পদক্ষেপ করা হোক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement