বিধানসভা নির্বাচনে একসঙ্গে লড়ে জোটের হাতে এসেছে দুর্গাপুরের দু’টি কেন্দ্রই। এ বার ভোটের ফলপ্রকাশ পরবর্তী হামলা, সন্ত্রাসের অভিযোগ জানাতেও জোটের ছবি দুর্গাপুরে। বৃহস্পতিবার মহকুমাশাসকের কাছে উপদ্রুত এলাকার তালিকা দিয়ে স্মারকলিপি দিলেন বাম-কংগ্রেস নেতৃত্ব।
বাম-কংগ্রেস নেতৃত্বের অভিযোগ, ভোটের ফল বেরনোর পর থেকে দুর্গাপুরের আইনস্টাইন সেক্টর, বেনাচিতির উত্তরপল্লি, দেশবন্ধুনগর, শ্রীনগরপল্লি, কাঁকসা, বাবনাবেড়া, রাজবাঁধ প্রভৃতি এলাকায় বিরোধীদের দলীয় কার্যালয়গুলিতে হামলা, ভাঙচুর চালানো হয়েছে। জোটের অভিযোগ, দুর্গাপুর পূর্ব ও পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তত ৪০ জন বাম-কংগ্রেস নেতা, কর্মীর বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। বেশ কয়েকজন কর্মী ঘরছাড়া বলেও দাবি করা হয়েছে। জোট নেতৃত্বের অভিযোগ, যে সব নেতা-কর্মী এলাকায় ফিরে এসেছেন, তাঁদের অনেকের কাছ থেকেই জোর করে জরিমানা আদায় করা হয়েছে। সম্প্রতি দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের ভিতরে এক সিটু নেতার প্রহৃত হওয়ার কথাও মহকুমাশাসককে জানানো হয়েছে। জোটের অভিযোগ, স্টিল প্ল্যান্টের ভিতরে আক্রান্ত ওই নেতার বিরুদ্ধেই উল্টে মারধরের মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছে শাসকদল।
এ দিন মহকুমাশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিতে এসেছিলেন দুর্গাপুরের দুই কেন্দ্রের সিপিএম ও কংগ্রেস বিধায়ক। সন্তোষ দেবরায়, মহাদেব পাল-সহ সিপিএম নেতাদের অভিযোগ, ‘‘ধারাবাহিক ভাবে আক্রমণ নেমে আসছে বিরোধীদের উপরে। প্রশাসনকে সব জানিয়েও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না’’ কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন কাউন্সিলর বংশীবদন কর্মকার বলেন, ‘‘নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর থেকেই হামলা চলছে। জরিমানা দিয়ে বাড়িতে থাকতে হচ্ছে বিরোধীদের।’’ দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে মহকুমাশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করার কর্মসূচিও নেওয়া হবে বলে জানান জোটের নেতারা। দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক শঙ্খ সাঁতরার যদিও আশ্বাস, ‘‘অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’