bardhaman

বারবার ধস নেমে বিপত্তি, দ্রুত পুনর্বাসনের দাবি হরিশপুরে

গ্রামের নানা এলাকায় অন্তত দশ বার ধসের ঘটনা ঘটেছে। তাঁদের অভিযোগ, ‘‘গ্রামের পাশে খোলামুখ খনি সম্প্রসারিত হওয়ার পরে, ধসের প্রকোপ বেড়েছে।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

অণ্ডাল শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২০ ০৫:০৭
Share:

পুনর্বাসন প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার দাবি জানিয়েছেন অণ্ডালের হরিশপুরের গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ—নিজস্ব চিত্র

ধসের আতঙ্কে ইতিমধ্যেই শ’দেড়েক পরিবার অন্যত্র চলে গিয়েছেন বলে দাবি তাঁদের। এই পরিস্থিতিতে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার দাবি জানিয়েছেন অণ্ডালের হরিশপুরের গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ।
স্থানীয় বাসিন্দা বিশ্বজিৎ ঘোষ, কাঞ্চন চৌধুরীরা জানান, ২০১১-র পরে হরিশপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিছনে ফাঁকা মাঠ-সহ গ্রামের নানা এলাকায় অন্তত দশ বার ধসের ঘটনা ঘটেছে। তাঁদের অভিযোগ, ‘‘গ্রামের পাশে খোলামুখ খনি সম্প্রসারিত হওয়ার পরে, ধসের প্রকোপ বেড়েছে।’’ তবে শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই স্কুল থেকে আসবাবপত্র পলাশবন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
সম্প্রতি পুনর্বাসন বিষয়ে দুর্গাপুরে বৈঠক হয়েছিল। তার পরে গত ২০ জুলাই একই বিষয় নিয়ে কাজোড়া এরিয়ার জিএম কার্যালয়ে বৈঠক হয়েছে বলে অণ্ডাল ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা যায়। বিডিও (অণ্ডাল) ঋত্বিক হাজরা বলেন, ‘‘ইতিমধ্যেই ইসিএল ক্ষতিগ্রস্ত ২১টি পরিবারকে খনিকর্মী আবাসনে অস্থায়ী পুনর্বাসন দিয়েছে। আরও ২৬টি খনিকর্মী আবাসন খালি করে রাখা হয়েছে পুনর্বাসনের জন্য। কাজোড়া উচ্চ বিদ্যালয়, কাজোড়ায় বেসরকারি বিএড কলেজ, লছিপুর প্রাথমিক, জুনিয়র বিদ্যালয়ের ঘরে প্রয়োজনে গ্রামবাসীদের আপাতত অস্থায়ী পুনর্বাসনে রাখা হবে।’’ বিডিও জানান, ইসিএল অস্থায়ী পুনর্বাসন দেওয়া এলাকায় বিনা খরচে জল, বিদ্যুতের ব্যবস্থা করবে। এডিডিএ-র সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রায় ৫৫০টি পরিবারকে পুনর্বাসন দিতে হবে।
এ দিকে, গ্রামের বাসিন্দা তথা তৃণমূল নেতা তপন পাল জানান, পুনর্বাসন প্যাকেজ অনুযায়ী, যাঁদের নিজের জমিতে বাড়ি আছে, তাঁরা সরকার চিহ্নিত পুনর্বাসন এলাকায় যেতে না চাইলে তাঁদের বাড়ি ও বাড়ি তৈরির জন্য জমির দাম দেওয়া হবে। যাঁরা অন্যের জমিতে বাড়ি তৈরি করে বাস করছেন, তাদের পুনর্বাসিত এলাকায় বাড়ি দেওয়া হবে। এই গ্রামে ২৪৫ জন নিজের জমিতে বাস করেন। প্রায় তিনশো জন নিজের জমিতে বাস করেন না। এ দিকে, সিপিএম নেতা প্রবীর মণ্ডলের ক্ষোভ, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার ২০০৯-এ রাজ্য সরকারকে পুনর্বাসনের আবাসন তৈরির টাকা দিয়েছে। বাম আমলে চেষ্টা শুরু হয়েছিল। এই রাজ্য সরকার ২০১১-র পরে ন’বছরেও কিছু করতে পারল না। গোটা গ্রামটাই তলিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।’’ এডিডিএ-র চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, “আবাসন তৈরি করছে রাজ্য আবাসন দফতর। আবাসন তৈরি শেষ হলে, পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। কারা অগ্রাধিকার পাবেন, তা দেখা হচ্ছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement