যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার। প্রতীকী চিত্র।
ঝোপের মধ্যে থেকে উদ্ধার হল এক বিজেপি কর্মীর ক্ষতবিক্ষত দেহ। রবিবার এই ঘটনা ঘটেছে আসানসোলের জামুড়িয়া থানার বিজয়নগর মোড় এলাকার কোলিয়ারি পুনর্বাসন কেন্দ্রের কাছে। কেন্দা ফাঁড়ির পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে আসানসোল জেলা হাসপাতালে। শুরু হয়েছে তদন্তও। ওই ঘটনায় যুবককে খুনের অভিযোগ তুলেছেন তাঁর আত্মীয়রা। গত এপ্রিলের শেষ ধাপে এই জামুড়িয়াতেই ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের বোগরা চটি এলাকায় একটি গাড়ির মধ্যে থেকে বিজেপি নেতা রাজেন্দ্র সাউয়ের গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। সেই ঘটনার কিনারা হওয়ার আগে আবার বিজেপি কর্মী খুনের অভিযোগ উঠল।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহতের নাম অশোক চক্রবর্তী। তিনি হিজলগড়া গ্রামের সূত্রধরপাড়ার বাসিন্দা। তাঁর দাদা ধনঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আজ সকালে শুনতে পাই ক্ষতবিক্ষত একটা দেহ পড়ে রয়েছে। কাছে গিয়ে দেখি, আমার ভাই। ওর মাথা থেকে শুরু করে গোটা শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।’’ধনঞ্জয়ের অভিযোগ, তাঁর ভাইকে খুন করা হয়েছে। গ্রাম থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে ঝোপের মধ্যে পাওয়া যায় তাঁর দেহ। অশোক কী ভাবে সেখানে পৌঁছলেন তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে ধনঞ্জয়। এ নিয়ে ডিসি সেন্ট্রাল কুলদীপ এসএস বলেন, ‘‘মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে আসানসোল জেলা হাসপাতালে।’’ ময়নাতদন্ত রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছেন তদন্তকারীরা।
নিহত অশোকের মা বন্দনা চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আমার ছেলে বিজেপি করত। জানি না কী হয়েছে। হয়তো কেউ খুন করেছে।’’ একই সুর আসানসোলের বিজেপি নেতাদের মুখেও। সেখানকার বিজেপি নেতা কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘জামুড়িয়ার একটি বুথের সক্রিয় কর্মী ছিলেন অশোক। বুথ স্বশক্তিকরণের কাজ করছিলেন। দেওয়াল লিখনের কাজও করছিলেন।’’ সেই সময় তাঁকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ কৃষ্ণেন্দুর।
এ নিয়ে তৃণমূলের পশ্চিম বর্ধমান জেলার সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এক জনের দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। তিনি যে দলেরই কর্মী হোক না কেন এমন মৃত্যু মোটেই কাম্য নয়। দোষী যে দলেরই হোক না কেন পুলিশ নিশ্চয়ই তাদের ধরবে।’’