ঘটনাস্থলে জটলা। নিজস্ব চিত্র
তিন দিন নিখোঁজ থাকার পরে শুক্রবার দুপুরে ফতেপুর থেকে রাজেশ প্রসাদ (২৪) নামে এক যুবকের পচাগলা দেহ উদ্ধার করল চিত্তরঞ্জন থানার পুলিশ। চিত্তরঞ্জন রেল আবাসনের বাসিন্দা রাজেশের দিদি পুলিশের কাছে মৌখিক ভাবে ভাইকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন।
আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি (পশ্চিম) অনমিত্র দাস বলেন, “আপাতত অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে এটি খুনের ঘটনা। ময়না-তদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যু ঠিক কী কারণে, তা বোঝা যাবে। পুলিশ তদন্ত করছে।”
পুলিশ জানায়, এ দিন সকালে ফতেপুরের একেবারে শেষ প্রান্তে অজয়ের পাড়ে শ্মশানঘাট লাগোয়া শালবনের মধ্যে দেহটি পড়ে থাকতে দেখেন জঙ্গলে কাঠ কুড়োতে আসা কয়েকজন মহিলা। খবর জানাজানি হতেই এলাকাবাসীর একাংশ সেখানে যান। পৌঁছয় চিত্তরঞ্জন থানার পুলিশও। তদন্তকারীরা জানান, দেহে একাধিক ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। মুখ ভারী কিছুর আঘাতে থেঁতলে গিয়েছে। পরিবার দেহটি শনাক্ত করেছে। পুলিশ দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য আসানসোল হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
রাজেশ বাড়িতে বাবা ও দিদির সঙ্গে থাকতেন। বাবা এই মুহূর্তে অসুস্থ হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি। রাজেশের দিদি অঞ্জনা কুমারী পুলিশকে জানান, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ তাঁর ভাই প্রতিদিনের মতো বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। সাধারণত, রাজেশ রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ বাড়ি ফেরেন। কিন্তু সে দিন রাত ১০টাতেও তিনি বাড়ি না ফেরায় শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। বুধবার পরিবারের তরফে চিত্তরঞ্জন থানায় নিখোঁজ-ডায়েরি করা হয়। অঞ্জনাদেবী পুলিশকে আরও জানিয়েছেন, বছর তিনেক আগে তাঁর ভাই আইটিআই পাশ করেন। চাকরির খোঁজ করছিলেন। অভিযোগ, মাস তিনেক আগে কয়েকজন পড়শি যুবক বাড়িতে রাজেশকে মারধর করে। অঞ্জনাদেবীর দাবি, “ভাইয়ের নামে ওই যুবকেরা মিথ্যা অভিযোগও করে পুলিশে। পুলিশ রাজেশকে গ্রেফতার করে। কিছু দিন আগে বাড়ি ফেরে ভাই। পড়শি ওই যুবকেরা ফের রাজেশকে খুনের হুমকি দেয়।” চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি ওই যুবকদের সঙ্গে।