— নিজস্ব চিত্র।
একাদশ শ্রেণির ছাত্রের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হল রেললাইনের ধার থেকে। বুধবার এই ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে রেলপুলিশ। ওই কাণ্ডে খুনের অভিযোগ করছে ছাত্রের পরিবার।
দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার দেশবন্ধু নগরীর বাসিন্দা প্রীতম পোড়েল (১৭)। সে একাদশ শ্রেণির ছাত্র। দুর্গাপুরের গান্ধী মোড় এলাকার একটি বেসরকারি ইংরাজি মাধ্যম স্কুলের ছাত্র প্রীতম। তার পরিবারের দাবি, মঙ্গলবার সকালে সাইকেল নিয়ে স্কুলে গিয়েছিল সে। সাধারণত স্কুলের ছুটি হয় বিকেল ৩টে নাগাদ। প্রীতমের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বিকেল গড়ালেও বাড়ি ফেরেনি সে। এমনকি, তাকে বহু বার ফোন করা হলেও সে ফোন ধরেনি বলেও দাবি পরিবারের। এর পর পরিবারের লোকজন বিষয়টি পুলিশে জানায়। পরিবারের সদস্যরাও শুরু করেন খোঁজাখুঁজি। অবশেষে প্রীতমের মোবাইল লোকেশনের সূত্র ধরে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর বাড়ি থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে রেললাইনের পাশে জঙ্গলে প্রীতমের সাইকেল মেলে। সেখান থেকে কিছুটা দূরে তার স্কুলের ব্যাগ এবং স্কুলের পোশাকও পাওয়া যায়। এর প্রায় ঘণ্টা তিনেক পর রেললাইনের উপর থেকে প্রীতমের ক্ষতবিক্ষত দেহ পায় রেলপুলিশ। তখন তার পরনে ছিল হাফপ্যান্ট এবং গেঞ্জি। দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। বুধবার সকালে প্রীতমের দেহ শনাক্ত করেন তার পরিবারের সদস্যরা।
প্রীতমের মা টুম্পা পোড়েল জানিয়েছেন, তাঁর ছেলে গত কয়েক দিন ধরে স্কুলে যেতে চাইছিল না। গতকাল তাকে জোর করে স্কুলে পাঠানো হয়েছিল বলে জানিয়েছেন টুম্পা। তাঁর অভিযোগ, ‘‘আমার ছেলেকে কেউ খুন করে রেললাইনে ফেলে দিয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক।’’ প্রীতমের বাবা তাপস পোড়েল দাবি, ‘‘আমার ছেলের মোবাইলে সমস্ত তথ্য মুছে ফেলা হয়েছে। আমার ছেলে আত্মহত্যা করার মতো নয়। তাই যদি হয় তা হলে ও হাফপ্যান্ট গেঞ্জি কেন পরবে?’’
বিষয়টি নিয়ে দুর্গাপুর-আসানসোল পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি তথাগত পাণ্ডে বলেন, ‘‘রেললাইনের যে দেহটি পাওয়া গিয়েছে তার ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে দুর্গাপুর রেলপুলিশের তরফে। সেই রিপোর্ট পাওয়ার পর জানা যাবে কী কারণে বা কী ভাবে সে মারা গিয়েছে।’’