ভাঙড়ে পুলিশের নাকাতল্লাশি। নিজস্ব চিত্র।
ভাঙড় জুড়ে পুলিশের নাকাতল্লাশি। তারই মধ্যে পুলিশ প্রশাসনকে আগাম হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখল আইএসএফ। তাঁদের সমর্থকেরা যাতে কলকাতা পৌঁছতে না পারেন, সে জন্য পুলিশ জায়গায় জায়গায় ব্যারিকেড দিয়ে নাকাতল্লাশি চালাচ্ছে বলে অভিযোগ নৌশাদের দলের। যদিও শনিবারের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতেই ভাঙড় জুড়ে কড়া নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। আইএসএফের এক নেতার হুঁশিয়ারি, যেখানে আটকাবে, সেখানে বসেই আন্দোলন হবে।
ভাঙড়ের বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকির মুক্তির দাবিতে নাগরিক সমাজের মিছিল রয়েছে কলকাতায়। সেই মিছিলে যোগ দিতে ভাঙড় থেকে অনেকেরই যাওয়ার কথা। আইএসএফের অভিযোগ, সেই কারণেই ভাঙড় থানা এলাকার চণ্ডীপুর, বৈরামপুর, ঘটকপুকুর, কাশীপুর থানা এলাকার শ্যামনগর, বগডোবা গাছতলা এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। চলছে নাকা চেকিং। এ বিষয়ে বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাকসুদ হাসান যদিও জানান, কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এবং এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্যেই প্রশাসন এই ব্যবস্থা নিয়েছে। অন্য দিকে, কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে হাতিশালা ও বাসন্তী হাইওয়ে এলাকায় চলছে নাকাতল্লাশি। অনেক জায়গা থেকেই আইএসএফ কর্মীদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।
আইএসএফের রাজ্য সহ সম্পাদক লক্ষ্মীকান্ত হাঁসদা বলেন, ‘‘যেখানেই পুলিশ আটকাবে সেখানেই আন্দোলন হবে।’’ বিভিন্ন জেলা থেকে ইতিমধ্যেই আইএসএফের ডাকা নাগরিক সমাজের মিছিলে যোগ দিতে যাচ্ছেন বহু কর্মী এবং সমর্থকেরা। লক্ষ্মীকান্ত বলেন, ‘‘শিয়ালদহ পৌঁছনোর আগেই যদি পুলিশ আটকায়, তা হলে যেখানেই আটকাবে সেখানেই আন্দোলন হবে, এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কর্মীদের। পুলিশ পুলিশের কাজ করবে, আমরা আমাদের কাজ করব। সমস্ত শুভ বুদ্ধিসম্পন্ন ও গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষকে মিছিলে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’’ তাঁর দাবি, যত দিন না নওশাদ সিদ্দিকি নিঃশর্ত মুক্তি পাচ্ছেন, তত দিন তাঁদের আন্দোলন জারি থাকবে।
প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা মেনে নিয়ে বাতিল করা হয়েছে তৃণমূলের প্রতিবাদ মিছিল। তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম জানান, আপাতত সভা স্থগিত। পাশাপাশি তাঁর দাবি, সভা হবে। তার আরও বক্তব্য, ভাঙড়ে আইএসএফের কোনও জনসমর্থন নেই। তাঁরা শান্ত ভাঙড়কে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু মানুষ তৃণমূলের সঙ্গে আছে বলেও দাবি করেন আরাবুল।