কাঁকসায় অজয়ে নিখোঁজের খোঁজে চলছে তল্লাশি। নিজস্ব চিত্র।
তিন দিন পরে উদ্ধার হল অজয় নদে তলিয়ে যাওয়া আর কিশোরের দেহ। শুক্রবার বিকেল ৩টে নাগাদ শুভ মণ্ডল (১৭) নামে ওই কিশোরের দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ দেহটি ময়না তদন্তের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়।
মকর সংক্রান্তির দিন, মঙ্গলবার বিকেলে অজয়ে আসে দুর্গাপুরের চাষিপাড়ার তিন বন্ধু। তাদের মধ্যে দু’জন, বছর পনেরোর রাহুল রায় ও শুভম অজয়ে স্নান করতে নেমে পড়ে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, জলে সামান্য নামার পরেই তারা তলিয়ে যেতে থাকে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ওই এলাকায় যথেচ্ছ বালি তোলার ফলে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। সেই গর্তেই তলিয়ে যায় ওই দুই নাবালক। ঘটনার দিনই পুলিশ ও উদ্ধারকারী দল তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে। বুধবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ রাহুলের দেহ উদ্ধার করে বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের কর্মীরা। তবে শুভমের হদিস মিলছিল না।
বৃহস্পতিবারও একই ভাবে শুভমের খোঁজে তল্লাশি চলে অজয়ে। ডুবুরি নামিয়ে বার বার খোঁজ চালানো হয়। পাশাপাশি স্পিড বোট দিয়েও নদের বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ চালানো হয়। শুক্রবার সকালে উদ্ধার কাজে আরও জোর বাড়ানো হয়। বীরভূম থেকে ১৩ নম্বর ব্যাটালিয়ানের উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে আসে। তারাও স্পিড বোট, ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি চালায়। তবে দুপুর পর্যন্ত শুভমের কোনও হদিস পাওয়া যাচ্ছিল না। ফলে ক্ষোভ তৈরি হচ্ছিল আত্মীয়-পরিজনদের মধ্যে। প্রথম দিন থেকেই ঘটনাস্থলে রয়েছেন শুভমের আত্মীয় বিশ্বনাথ ঘোষ। শুক্রবার সকালে তিনি অভিযোগ করেন, ঠিক মতো উদ্ধার কাজ হচ্ছে না। এ ভাবে চলতে থাকলে শুভমকে খুঁজে পাওয়া যাবে কি না, তাঁরা বুঝতে পারছেন না।
এই পরিস্থিতিতে এ দিন দুপুরে স্থানীয় ১০ জন জেলেকেও উদ্ধার কাজে নামায় পুলিশ। অবশেষে বিকেলে অজয়ের গভীর গর্ত থেকে শুভমের দেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসেন তাঁরা। এসিপি (কাঁকসা) সুমনকুমার জয়সওয়াল বলেন, “এ দিন দু’টি উদ্ধারকারী দল নামানো হয়েছিল। জল খুব ঠান্ডা থাকায় ডুবুরিদের বেশিক্ষণ জলে থাকতে সমস্যা হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত দেহটি উদ্ধার করা গিয়েছে।”