দাঁইহাটে পদত্যাগ পুরপ্রধানের

তৃণমূল নেতাদের দাবি, তিন বছরে এলাকায় উন্নয়নের কোনও কাজ হয়নি। সেই হতাশা থেকেই এক-এক করে সিপিএম কাউন্সিলররা তাঁদের দলে যোগ দিচ্ছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাটোয়া শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০০:২১
Share:

বিদ্যুৎবরণ ভক্ত

তিন দিন আগে তাঁর অপসারণের দাবিতে চিঠি দিয়েছিলেন সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলর। সেই প্রক্রিয়ার মধ্যে না গিয়ে পদত্যগ করলেন দাঁইহাটের পুরপ্রধান বিদ্যুৎবরণ ভক্ত। বুধবার রাতে কাটোয়ার মহকুমাশাসককে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি। নিয়মমাফিক পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে বলে জানান মহকুমাশাসক সৌমেন পাল।

Advertisement

২০১৫ সালের পুরভোটে ১৪ আসনের এই পুরসভার ৯টিতে জেতে সিপিএম। তৃণমূল ৪টি ও বিজেপি একটি আসন পায়। সপ্তাহখানেক আগে শাসক দলের জেলা পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাসের হাত ধরে চার সিপিএম কাউন্সিলর গীতা বন্দোপাধ্যায়, সুজাতা বিশ্বাস, মামনি মাজি ও ধনঞ্জয় মণ্ডল তৃণমূলে যোগ দেন। ফলে, তৃণমূলের দখলে চলে আসে ৮টি আসন।

সোমবার ওই আট কাউন্সিলর পুরসভায় গিয়ে পুরপ্রধানকে অপসারণের দাবিতে চিঠি জমা দেন। প্রতিলিপি পাঠান জেলাশাসকের দফতরেও। পুরপ্রধান বিদ্যুৎবাবু সে দিন পুরসভায় ছিলেন না। প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, পুর আইন অনুযায়ী, ওই চিঠি জমা পড়ার ১৫ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে কাউন্সিলরদের ডেকে বৈঠক করার কথা পুরপ্রধানের। তিনি তা না করলে পরবর্তী ৭ দিনের মধ্যে সেই বৈঠক ডাকতে পারবেন উপ-পুরপ্রধান। তা-ও না করা হলে তিন জন কাউন্সিলর অনাস্থার বৈঠক ডাকতে পারেন।

Advertisement

তৃণমূল নেতাদের দাবি, তিন বছরে এলাকায় উন্নয়নের কোনও কাজ হয়নি। সেই হতাশা থেকেই এক-এক করে সিপিএম কাউন্সিলররা তাঁদের দলে যোগ দিচ্ছেন। সিপিএমের আরও দু’এক জন কাউন্সিলর যোগ দিতে পারেন বলেও দাবি কাটোয়ার তৃণমূল নেতাদের। যদিও সিপিএমের পাল্টা দাবি, দল পাল্টানোর জন্য তাঁদের কাউন্সিলরদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এলাকায় অনুন্নয়নের কথাও মানতে চাননি বিদ্যুৎবাবু। তিনি অভিযোগ করেন, বিরোধী দলের পুরসভা হওয়ায় বঞ্চনার শিকার হতে হয়েছে।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে পদত্যাগ করতে চেয়ে মহকুমাশাসকের কাছে চিঠি পাঠান বিদ্যুৎবাবু। সেটি জেলাশাসককে পাঠানো হয়েছে বলে জানান মহকুমাশাসক। কাটোয়ার তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘উন্নয়নের কাজ না করায় অনেক দিন আগেই ওঁর পদত্যাগ করা উচিত ছিল।’’ অপসারণের দাবিতে চিঠি জমা পড়ার পরেই তড়িঘড়ি পদত্যাগ কেন? বিদ্যুৎবাবুর বলেন, ‘‘নৈতিক কর্তব্য ও দলের নির্দেশ বিবেচনা করেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement