প্রতীকী ছবি। —ফাইল চিত্র
লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংখ্যাটা। শনিবার পূর্ব বর্ধমান জেলায় নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা চারশো পেরিয়ে গেল। সন্ধ্যায় জেলা তথ্য দফতরের তরফে দেওয়া হিসেব অনুযায়ী, এ দিন ৪৪৮ জনের করোনা রিপোর্ট ‘পজ়িটিভ’ এসেছে জেলায়। তার মধ্যে ১৭০ জনই বর্ধমান শহরের বাসিন্দা। এ ছাড়া গলসি ১ ব্লকের ৩০ জন ও মন্তেশ্বর ব্লকের ৩০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। কাটোয়া শহর এবং কাটোয়া ১ ও ২ ব্লক মিলিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ জন।
গত কয়েকদিন ধরেই দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছিল। মাঝে দু’-এক দিন সংখ্য কমলেও তা স্থায়ী হচ্ছে না। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ২২ এপ্রিল জেলায় ৩৬৬ জনের রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। পর দিন সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছিল ২৭৩। কিন্তু শনিবার তা আবার বেড়ে চারশো পেরিয়ে গিয়েছে। এ দিন আক্রান্তদের মধ্যে ১১ জন ছাড়া বাকিদের উপসর্গ নেই বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
করোনা সংক্রমণের এমন হারের জন্য সচেতনতার অভাবকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকেরা। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তথা জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অরিন্দম রায় বলেন, ‘‘জেলা সদরের মানুষজন করোনাকে কার্যত অবহেলার চোখে দেখেছেন। বিভিন্ন দিক থেকে সচেতনতার অভাব ফুটে উঠেছে। তারই পরিণতি এখন সামনে আসছে।’’ জেলাশাসক (পূর্ব বর্ধমান) প্রিয়ঙ্কা সিংলা বলেন, ‘‘করোনা-বিধি মেনে চলার বিষয়ে আরও জোর দেওয়া হচ্ছে। সচেতনতার প্রচার বাড়ানো হচ্ছে।’’
বর্ধমান পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, সচেতনতা তৈরিতে ইতিমধ্যে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। আজ, রবিবার কাটোয়া পুরসভাও বিভিন্ন ক্লাব, নানা প্রতিষ্ঠান ও চিকিৎসকদের সঙ্গে ‘ভার্চুয়াল’ আলোচনা করবে বলে জানা গিয়েছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিএমওএইচ) প্রণব রায়ের বক্তব্য, ‘‘মানুষজনকে আরও সচেতন হতে হবে।’’