Cyclone Amphan

ঝড়ে সম্ভাব্য ক্ষতি ৭ কোটির

জেলা কৃষি দফতর জানায়, যেদিন ঝড় হয়েছিল, সেদিন ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল প্রায় ৩৮ মিলিমিটার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাঁকসা শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০২০ ০১:৩০
Share:

প্রতীকী ছবি

আমপানের সরাসরি প্রভাব পশ্চিম বর্ধমানে পড়েনি। কিন্তু তার পরেও এই ঝড়ের জেরে জেলায় বহু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে বোরো ধান ও আনাজ চাষে। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ঝড়-জলের প্রভাবে সম্ভাব্য সাত কোটি টাকারও বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এই জেলায়।

Advertisement

জেলা কৃষি দফতর জানায়, যেদিন ঝড় হয়েছিল, সেদিন ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল প্রায় ৩৮ মিলিমিটার। এর ফলে, বেশ কিছু খেত জলমগ্ন হয়ে পড়ে। পাশাপাশি, ঝোড়ো হাওয়া চাষাবাদে সমস্যা তৈরি করে বলে জানান চাষিরা। দফতরের হিসেবে, জেলায় প্রায় দু’হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের জমি রয়েছে। এই সময়ে ধান কাটার মরসুম চলছে। অনেক চাষিই ধান কেটে বাড়িতে তুলেও ফেলেছেন। আবার অনেকের জমিতে ধান পাকা অবস্থায় ছিল। আমপানের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় দু’শো হেক্টর জমির ধান।

ঝড়ের ফলে বহু জমিতে পাকা ধান জমিতে ঝরে গিয়েছে। সৌমেন ঘোষ, সালাউদ্দিন মিদ্যা-সহ বেশ কয়েকজন চাষি বলেন, “ধান বাড়িতে তোলার মতো পরিস্থিতি ছিল। কিন্তু ঝড়-বৃষ্টির প্রভাবে, আর তা সম্ভব হচ্ছে না। কী ভাবে সংসার চলবে

Advertisement

জানি না!”

কৃষি দফতর জানায়, এই সময়ে প্রায় এক হাজার হেক্টর জমিতে তিল চাষ হয়েছিল। প্রায় দেড়শো হেক্টর জমিতে তিল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তবে সব থেকে বেশি প্রভাব পড়েছে জেলার আনাজ চাষে। জেলার প্রায় দু’হাজার হেক্টর জমিতে শসা, পটল, ঝিঙে, টোম্যাটো, ঢেঁড়শ প্রভৃতি চাষ করেছিলেন কাঁকসা, দুর্গাপুর-ফরিদপুর, পাণ্ডবেশ্বরের ব্লকের বহু চাষি। ঝড়-জলের প্রভাবে প্রায় সাড়ে তিনশো হেক্টর জমিতে আনাজ নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে কৃষি দফতর জানায়। দেবনাথ চৌধুরী, বিনোদ র্শমা-সহ কয়েকজন আনাজ চাষি বলেন, “মাচা ভেঙে ও জমিতে জল জমে আনাজের ক্ষতি হয়েছে। এই মুহূর্তে বাজারে আনাজের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকলেও, আগামী দিনে এর ফলে, জোগানে টান পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে বাজারে আনাজের দাম বাড়তে পারে।”

এই পরিস্থিতিতে চাষিদের বড় অংশেরই দাবি, তাঁদের জন্য ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করুক সরকার। তবে, জেলা উপ-কৃষি আধিকারিক সাগর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা ক্ষয়ক্ষতির সমস্ত তালিকা তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি। রাজ্য সরকার যা সিদ্ধান্ত নেবে, সেই মতো কাজ করা হবে।”

এ ছাড়া, জেলা বিপর্যয় ব্যবস্থাপন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ৮১৫টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, পর্যাপ্ত সংখ্যায় ত্রিপল বিলি করা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement