বিশ্বকাপ দেখার জন্য বর্ধমানের কঙ্কালেশ্বরী মন্দির চত্বরে জায়ান্ট স্ক্রিন। নিজস্ব চিত্র Stock Photographer
অপরাজেয় থেকে বিশ্বকাপ ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে ভারত। ১৯৮৩, ২০১১-র পর আবার ক্রিকেটে বিশ্বজয়ের স্বপ্ন ছুঁতে উদ্বেল দেশবাসী। সেই উন্মাদনা থেকে বাদ নেই শহর বর্ধমানও। বুধবার, নিউ জ়িল্যান্ডের সঙ্গে সেমিফাইনাল ম্যাচ থেকেই শহরে ব্যাপক উন্মাদনা দেখা গিয়েছে। ফাইনালের দিন তা কার্যত ক্রিকেট-জ্বরের চেহারা নেবে বলে নিশ্চিত শহরের ক্রিকেটপ্রেমীরা।
বুধবার বর্ধমান শহরের বিভিন্ন জায়গায় এলইডি পর্দায় সেমিফাইনাল দেখানো হয়। বিরাট, শ্রেয়সের শতরান, শামির সাত উইকেটের দাপটে কাঙ্ক্ষিত জয় আসার পরেই রাস্তায় নেমে পড়েন উচ্ছ্বসিত ক্রিকেটপ্রেমীরা। বুধবার বর্ধমান শহরের বিভিন্ন প্রান্তে বড় পর্দায় খেলা দেখানোর ব্যবস্থা হয়। শহরের কঙ্কালেশ্বরী মন্দির প্রাঙ্গণে মন্দিরের বড় এলইডি পর্দায় খেলা দেখানোর ব্যবস্থা হয়। প্রচুর মানুষ এমনিতেই কালীপুজোর রেশ থাকায় মন্দির চত্বরে ভিড় করেছিলেন। তাঁরাও রোহিত-বিরাটদের জয় উপভোগ করেন। আশপাশের বাসিন্দারা অনেকে মন্দির চত্বরে বসেই খেলা দেখেন। খেলা দেখতে আসা প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘‘দারুণ ছন্দে রয়েছে দল। জানতাম সেমিফাইনালে ভারত জিতবে। তাই একসঙ্গে খেলা দেখার আয়োজন করা হয়।’’ আর এক দর্শক অভিজিৎ সরকার বলেন, ‘‘বিরাটের সচিনের রেকর্ড পেরিয়ে যাওয়া, শ্রেয়সের ব্যাটিং তাণ্ডব, শামির আগুনে পেস বোলিং খেলার দেখার মজা তিন গুণ করে দেয়। ফাইনালেও আমরা এ ভাবে একসঙ্গে বড় পর্দায় খেলা দেখব ও ভারতীয় দলকে সমর্থন করব।’’
রথতলা মাঠের সামনে থাকা এলইডি পর্দাতেও এ দিন খেলা দেখেন অনেকে। পথচলতি মানুষও বড় পর্দায় খেলা হচ্ছে দেখে দাঁড়িয়ে পড়েন। টিকরহাট, বোরহাট, সুভাষপল্লি-সহ অনেক জায়গাতেই এ ভাবেই বড়পর্দায় খেলা দেখানোর ব্যবস্থা হয়। সেমিফাইনালে জয়ের পরেই রাতেই রাস্তায় নেমে পড়েন উৎসাহীরা। বি সি রোডে রাতে বহু কচিকাঁচা ও ক্রিকেটপ্রেমীরা রাস্তায় নেমে জয়োল্লাস শুরু করেন। জাতীয় পতাকা নিয়ে কাঁসর ঘন্টা বাজিয়ে, বাজি ফাটিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাস করতে দেখা যায় তাঁদের।
ফাইনালের জন্যই একই ভাবে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে শহরে। গোলাপবাগে মোড়, বাবুরবাগ, বড়নীলপুরের মতো বিভিন্ন এলাকায় বড় পর্দায় ম্যাচ দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ক্রিকেটপ্রেমী সজল ঘোষ, কুশাই সাহা বলেন, ‘‘ফাইনাল জয়ের পর বিজয় মিছিলের প্রস্তুতি চলছে।’’ টিকরহাট এলাকায় বিশ্বকাপ উপলক্ষে জাতীয় পতাকা টাঙানো হয়েছে। খেলোয়াড়দের ছবি দিয়ে সাজানো হচ্ছে ওই চত্বর। আগামী কয়েকদিনে পতাকা এবং ভারতীয় দলের জার্সি বিক্রি বাড়বে বলে অচিন্ত্য ঘোষ, রাজীব সেনের মতো ক্রীড়াসামগ্রী বিক্রেতারা আশা করছেন।