কাটোয়া ১

কাটোয়ায় একমাত্র পঞ্চায়েত সমিতিও হারাল বাম

সিপিএমের হাতে থাকা জেলার একটি পঞ্চায়েত সমিতির দখল নিতে চলল তৃণমূল। শনিবার মন্তেশ্বরের একটি সভায় জেলার তৃণমূল পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাসের নেতৃত্বে কাটোয়া ১ পঞ্চায়েত সমিতির পাঁচ সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাটোয়া শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০১৬ ০০:৩৬
Share:

— প্রতীকী ছবি।

সিপিএমের হাতে থাকা জেলার একটি পঞ্চায়েত সমিতির দখল নিতে চলল তৃণমূল। শনিবার মন্তেশ্বরের একটি সভায় জেলার তৃণমূল পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাসের নেতৃত্বে কাটোয়া ১ পঞ্চায়েত সমিতির পাঁচ সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। আপাতত ২৬ সদস্যের ওই পঞ্চায়েত সমিতিতে তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা ১৪।

Advertisement

জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবু টুডু বলেন, ‘‘জেলার ৩১টি পঞায়েত সমিতির মধ্যে ৩০টি আমাদের হাতে ছিল। শনিবার সিপিএম থেকে পাঁচ সদস্য যোগ দেওয়ায় অবশিষ্ট কাটোয়া ১ পঞ্চায়েত সমিতিও আমাদের হাতে চলে এসেছে।’’ তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার গিধগ্রাম পঞ্চায়েতের ঝুমা ঘোষ, সুদপুর পঞ্চায়েতের তাপসী হাজরা, সরগ্রাম পঞ্চায়েতের নীলরতন রায়, করজগ্রাম পঞ্চায়েতের কাজী আব্দুল ওয়াজেদ ও আলমপুর পঞ্চায়েতের সুষমা মণ্ডল তৃণমূলে যোগ দেন। অনাস্থা প্রস্তাবের ভিত্তিতে ১১ নভেম্বর ভোটাভুটির দিন ঠিক হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। এই দিন তৃণমূলে যোগ দেন মন্তেশ্বর ব্লকের চার পঞ্চায়েত সদস্যও।

পঞ্চায়েত ভোটের পরে কাটোয়া ১ পঞ্চায়েত সমিতিতে কংগ্রেস ৬টি, তৃণমূল একটি ও সিপিএম ১৯টি আসন পায়। কিছুদিন পরে বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার সময় ছয় কংগ্রেস সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। বিধানসভা ভোটের পরে সিপিএম থেকে দুই সদস্য তৃণমূলে যান। পঞ্চায়েত সমিতিতে তৃণমূল সদস্যের সংখ্যা দাঁড়ায় ৯, আর সিপিএমের ১৭। শনিবার আরও পাঁচ সিপিএম সদস্য শাসকদলে যোগ দেওয়ায় ১৪ সদস্য পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করল তৃণমূল। সিপিএমের হাতে রয়েছে ১২টি আসন। তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, ইতিমধ্যেই ১৩ জন সদস্য অনাস্থা এনেছেন। সাত নভেম্বর ভোটাভুটি হওয়ারও দিন ঠিক ছিল। পরে অবশ্য তা পিছিয়ে হয়েছে ১১ নভেম্বর। ওই দিন আরও চার সিপিএম সদস্য দল ছাড়তে পারেন বলেও তৃণমূল নেতাদের দাবি।

Advertisement

রবিবার কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় দাবি করেন, কাটোয়া ১ পঞ্চায়েত সমিতিতে দীর্ঘদিন ধরে দুর্নীতি ও স্বজনপোষনের অভিযোগ উঠছিল। উন্নয়নের কাজও থমকে গিয়েছিল। পালাবাদলের পরে উন্নয়নের কাজ সহজ হবে। পঞ্চায়েত সমিতি তৃণমূলের হাতে এসে যাবে বলেও তাঁর আশা।

যদিও সিপিএম নেতা অঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের পাল্টা দাবি, শাসকদলের মোটবাইক বাহিনী ভয় দেখিয়ে জোর করে দলত্যাগ করিয়েছে সিপিএমের সদস্যদের। কাটোয়ার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে বলেও তাঁর মত। আর কোনও সদস্য তৃণমূলে যাবেন না বলেও দাবি করেছেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement