প্রতীকী ছবি।
মুম্বই থেকে ফেরা পূর্বস্থলীর এক যুবকের করোনা-রিপোর্ট এল ‘পজ়িটিভ’। রবিবার সন্ধ্যায় রিপোর্ট আসার পরেই ওই যুবককে কাঁকসার এক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। তাঁর সঙ্গে একই গাড়িতে ফেরা আরও পাঁচ জনকে বর্ধমানের গাংপুরের বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ওই যুবকের যেখানে বাড়ি, পূর্বস্থলীর পিলা পঞ্চায়েতের সেই হামিদপুর এলাকা ‘গণ্ডিবদ্ধ’ করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে প্রশাসন।
পূর্ব বর্ধমানের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিএমওএইচ) প্রণব রায় বলেন, ‘‘পূর্বস্থলীর এক জনের লালারসের নমুনার রিপোর্ট ‘পজ়িটিভ’ পাওয়া গিয়েছে। ওই এলাকায় তৎপরতার সঙ্গে কাজ শুরু করেছে স্বাস্থ্য দফতর।’’ কালনা মহকুমায় এই প্রথম করোনা-আক্রান্তের সন্ধান মিলল বলে জানিয়েছেন প্রশাসনের কর্তারা।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুম্বইয়ের থানে এলাকায় কাজ করতে গিয়েছিলে পূর্বস্থলীর ছ’জন রাজমিস্ত্রি। লকডাউনে তাঁদের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ১৪ মে তাঁরা একটি গাড়ি ভাড়া করে বাড়ির পথে রওনা দেন। ১৬ মে আসানসোলের ডুবুরডিহি চেকপোস্টে তাঁদের গাড়ি আটকানো হয় পুলিশের তরফে। প্রাথমিক পরীক্ষার পরে তাঁদের দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে ছেড়ে দেওয়া হয়।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা যায়, রবিবার সন্ধ্যায় ছ’জনের মধ্যে এক জনের রিপোর্ট ‘পজ়িটিভ’ আসে। এর পরেই বিষয়টি নিয়ে তৎপর হয় প্রশাসন। এলাকায় যান পূর্বস্থলী ২ বিডিও সৌমিক বাগচি, আইসি রাকেশ মিশ্র এবং স্বাস্থ্য দফতরের কর্মী-আধিকারিকেরা। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত বছর ছত্রিশের ওই যুবকের প্রত্যক্ষ সংস্পর্শে এসেছেন দশ জন। পরোক্ষ সংস্পর্শে এসেছেন ২৭ জন। আশেপাশে ৪৭টি বাড়ি চিহ্নিত করে খোঁজ নেওয়া শুরু হয়েছে। এলাকা ‘সিল’ এবং ‘স্যানিটাইজ়’ করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। পূর্বস্থলী ২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তপন চট্টোপাধ্যায় জানান, এলাকা থেকে যাতে কোনও রকম সংক্রমণ না ছড়ায় সে ব্যাপারে প্রশাসনিক আধিকারিকেরা কাজ শুরু করেছেন।