গলসিতে আক্রান্তের পরিজনদের ‘কোয়রান্টিন’ কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার জন্য এলাকায় স্বাস্থ্য দফতরের দল। নিজস্ব চিত্র
মাস কয়েক আগে খণ্ডঘোষে বাপের বাড়ি যাওয়া ছাড়া, অন্যত্র যাতায়াতের কোনও তথ্য নেই তাঁর। গলসি ১ ব্লকের শিড়রাই গ্রামের বছর বত্রিশের এক বধূর করোনা ধরা পড়ায় তাই ধন্দে পড়েছেন স্বাস্থ্য-কর্তারা। কী ভাবে তিনি আক্রান্ত হলেন, তা নিয়েই চিন্তায় তাঁরা। আতঙ্ক তৈরি হয়েছে এলাকাতেও।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার ওই বধূর করোনা-রিপোর্ট ‘পজ়িটিভ’ আসে। শনিবার তাঁর পরিবারের দশ জনকে নিভৃতবাসে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের লালারসের নমুনা পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে। এলাকা ‘সিল’ করা হয়েছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব রায় বলেন, ‘‘কী ভাবে ওই মহিলা করোনা-আক্রান্ত হলেন, খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।’’ গলসি ১ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক (বিএমওএইচ) শেখ ফারুক হোসেন বলেন, ‘‘এলাকার প্রত্যেক বাসিন্দার নমুনা পরীক্ষা করানো হবে। রবিবার থেকেই নমুনা সংগ্রহ শুরু হয়ে যাবে।’’
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খণ্ডঘোষের এক গ্রামে মহিলার বাপের বাড়ি। কয়েকমাস সেখানে থাকার পরে, সপ্তাহ তিনেক আগে শিড়রাই গ্রামে ফেরেন তিনি। সম্প্রতি তাঁর জ্বর ও শ্বাসকষ্টের উপসর্গ দেখা দেয়। ১৬ মে তাঁকে আদড়াহাটি ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান পরিজনেরা। সেখান থেকে বর্ধমানে পাঠানো হলে নমুনা পরীক্ষার পরে করোনা ধরা পড়ে। তিনি কী ভাবে আক্রান্ত হলেন, স্পষ্ট নয় স্বাস্থ্য-কর্তাদের কাছে। তবে হাঁপানির জন্য একাধিক বার হাসপাতালে যাতায়াত করায় সেখান থেকে সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা। প্রশাসনের একটি সূত্রের দাবি, মহিলার ভাসুর হাওড়ায় থাকেন। তিনি দিন কয়েক আগে বাড়ি এসেছিলেন। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে আধিকারিকেরা জানান।
শিড়রাই পঞ্চায়েতের প্রধান শেখ আব্দুস সামাদের বক্তব্য, ‘‘আক্রান্তের স্বামীর মুদির দোকান রয়েছে। সেখানে অনেকে যাতায়াত করেছেন। তাই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।’’ শিড়ারাই গ্রামের বাসিন্দা তথা গলসি ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রোকেয়া বেগম বলেন, ‘‘ওই পাড়া জীবাণুমুক্ত করা হবে।”