আউশগ্রামে তৃণমূলের সভায়। বুধবার। নিজস্ব চিত্র
এক পরিবারের তিন জন-সহ এলাকায় মোট আট জন করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে বুধবার। সে দিনই বেশ কিছু কর্মীকে দলে যোগ দেওয়ানোর জন্য সভা আয়োজন করল তৃণমূল। আউশগ্রামের রামনগরে শাসক দলের এই সভায় স্বাস্থ্য-বিধি মানা হয়নি বলে অভিযোগ। বর্তমান পরিস্থিতিতে এ ভাবে সভা আয়োজন করা নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা।
তৃণমূল সূত্রের দাবি, মল্লিকপুর গোস্বামীখণ্ডের সৃজনী সভাগৃহে অনুষ্ঠিত এই সভায় এলাকার প্রায় ৫৯টি পরিবার বিজেপি থেকে তাদের দলে যোগ দিয়েছে। সেই সমর্থকদের হাতে পতাকা তুলে দিতে সভায় হাজির ছিলেন আউশগ্রামের বিধায়ক অভেদানন্দ থান্দার। এ ছাড়া, ছিলেন দলের ব্লক সভাপতি তথা জেলা পরিষদ সদস্য রামকৃষ্ণ ঘোষ, আউশগ্রাম ২ পঞ্চায়েত সমিতির কার্যকরী সভাপতি সৈয়দ হায়দার আলিরা। এলাকাবাসীর একাংশের অভিযোগ, সভায় হলের মধ্যে স্বাস্থ্য-বিধি মানা হয়নি। গা ঘেঁষেই বসেছিলেন কর্মী-সমর্থকেরা।
তাঁদের দল থেকে কেউ তৃণমূলে যাননি দাবি করে বিজেপির আউশগ্রাম বিধানসভার আহ্বায়ক দেবব্রত মণ্ডলের অভিযোগ, ‘‘রাজ্যের শাসক দল কোনও নিয়ম-নীতি না মেনেই এ ধরনের সভা করছে। তাতে এলাকায় আরও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বাড়ছে।’’ প্রশাসনও বিষয়টি নিয়ে নীরব বলে দাবি তাঁর। স্বাস্থ্য-বিধি না মেনে জমায়েত করে সভার অভিযোগ তুলেছেন সিপিএমের পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির সদস্য আলমগীর মণ্ডলও।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের আউশগ্রাম ২ ব্লক সভাপতি রামকৃষ্ণবাবুর দাবি, ‘‘এ দিনের কর্মসূচি পূর্ব নির্ধারিত ছিল। খোলা মাঠে সভা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরিস্থিতি বিবেচনা করে, প্রকাশ্যে অনুষ্ঠান বাতিল করে প্রেক্ষাগৃহে মাত্র একশো জনকে নিয়ে স্বাস্থ্য-বিধি মেনেই সভা করা হয়েছে।’’ বিধায়কেরও বক্তব্য, ‘‘সভায় হাজির সকলের মুখেই ‘মাস্ক’ ছিল। সকলে নির্দিষ্ট দূরত্ব মেনেই বসেছিলেন।’’
আউশগ্রাম ২ বিডিও গোপাল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সভার বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।’’ এলাকায় যাঁদের করোনা ধরা পড়েছে, তাঁদের ‘সেফ হোম’-এ পাঠানো হয়েছে এবং কয়েকজনকে হোম ‘আইসোলেশন’-এ রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)