ছড়ানো হচ্ছে জীবাণুনাশক। নিজস্ব চিত্র
এক ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ‘কোভিড- পজ়িটিভ’। তাই আগামী সোমবার পর্যন্ত মহকুমাশাসকের দফতর (দুর্গাপুর)-সহ ওই ভবনে থাকা দুর্গাপুর আদালত, ডাকঘর ও রাজ্য সরকারের নানা দফতর বন্ধ থাকবে বলে পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন জানিয়েছে। মহকুমাশাসক (দুর্গাপুর) অনির্বাণ কোলে বলেন, ‘‘শুক্রবার এক ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের রিপোর্ট ‘কোভিড-পজ়িটিভ’ এসেছে। তাঁকে মলানদিঘির ‘কোভিড হাসপাতালে’ ভর্তি করানো হয়েছে।’’
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ দিন সকালে প্রতিদিনের মতো মহকুমাশাসকের দফতর, আদালত, ডাকঘর, পরিবহণ দফতর-সহ অন্য দফতরগুলিতে বিভিন্ন কাজে আসেন মানুষজন। ঘণ্টাখানেক বাদে কোভিড আক্রান্তের খবর ছড়াতেই ভিড় কমতে শুরু করে। প্রশাসন বিষয়টি ঘোষণা করার পরে, অফিস চত্বর পুরোপুরি ফাঁকা হয়ে যায়। দমকলের কর্মীরা গিয়ে পুরো ভবন জীবাণুমুক্ত করেন।
মহকুমাশাসক বলেন, ‘‘জেলাশাসকের নির্দেশ অনুযায়ী, দফতর জীবাণুমুক্ত করা, নির্দিষ্ট সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা-সহ যাবতীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সোমবার পর্যন্ত দফতর বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অবস্থা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।’’ অফিস বন্ধ থাকায় এই সময়ে জরুরি কাজকর্ম ‘অনলাইন’-এর মাধ্যমে করা যাবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই আধিকারিক কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। প্রাথমিক ভাবে নিউমোনিয়ার উপসর্গ ধরা পড়েছিল। বৃহস্পতিবার তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তাঁর লালারসের নমুনা পাঠানো হয় পরীক্ষার জন্য। শুক্রবার রিপোর্ট আসে। এর পরেই তাঁকে ওই হাসপাতাল থেকে কোভিড হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয়।
মহকুমাশাসক-সহ মহকুমা প্রশাসনের ছ’জন আধিকারিক ও ৪৪ জন কর্মীর লালারসের নমুনা এ দিনই পাঠানো হয় পরীক্ষার জন্য। রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত তাঁরা সবাই ‘সেল্ফ কোয়রান্টিন’-এ থাকবেন। আর কে কে ওই আধিকারিকের সংস্পর্শে এসেছেন, তা খোঁজ নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান মহকুমাশাসক। দিন ছয়েক আগে ওই ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট দফতরে এসেছিলেন বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।