Coronavirus in West Bengal

আসানসোলে দ্বিতীয় করোনা-হাসপাতাল

দুর্গাপুরে ফের আরও একটি হাসপাতালকে করোনা-চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট করার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে তা আসানসোলে চালু করার জন্য দাবি জানায় সিটু।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২০ ০১:০৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

ডিএসপি হসপিটালের ‘বক্ষ বিভাগ’টির পরিকাঠামোগত উন্নতি ঘটিয়ে সেটিকে জেলার দ্বিতীয় করোনা-হাসপাতাল করার তোড়জোড় শুরু হয়েছিল। কিন্তু দুর্গাপুরে ফের আরও একটি হাসপাতালকে করোনা-চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট করার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে তা আসানসোলে চালু করার জন্য দাবি জানায় সিটু। শেষমেশ মঙ্গলবার স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, সেটি আসানসোলের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তৈরি হবে।

Advertisement

দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্ট (ডিএসপি) সূত্রে জানা যায়, কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার ডিএসপি হসপিটালের ওই বিভাগটিকে করোনা-চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এর পরেই সিটু-র তরফে করোনা মোকাবিলায় ডিএসপি-তে তৈরি শ্রমিক সংগঠন ও কর্তৃপক্ষের যৌথ কমিটির কাছে আপত্তি জানানো হয়।

সিটু দাবি করেছিল, দুর্গাপুরের মলানদিঘির একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল ইতিমধ্যেই করোনা চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট। দুর্গাপুরে ফের আরও একটি হাসপাতালকে এই কারণে নির্দিষ্ট করাটা ঠিক নয়। তা ছাড়া, সেখানে করোনা-চিকিৎসা শুরু হলে প্ল্যান্ট খোলা থাকায় কর্মীদের চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। সমস্যায় পড়বেন চিত্তরঞ্জন, আসানসোল-সহ বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ।

Advertisement

সিটুর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তপন সেন এ বিষয়ে তাঁদের আপত্তি জানিয়ে চিঠি দেন সেল-এর চেয়ারম্যানকে। সিটু নেতা তথা দুর্গাপুর পূর্বের বিধায়ক সন্তোষ দেবরায় আপত্তি জানিয়ে চিঠি দেন কেন্দ্রীয় ইস্পাতমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে।

জে‌লা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের (সিএমওএইচ) দেবাশিস হালদারের সই করা এক নির্দেশিকায় জানানো হয়, আসানসোলের একটি বেসরকারি হাসপাতালকে করোনা-চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট করা হবে। বুধবার থেকে সেখানে করোনা-উপসর্গ থাকা রোগীদের চিকিৎসা শুরু করা যাবে বলে নির্দেশিকায় জানানো হয়। যদিও বৃহস্পতিবার সেখানে বিশেষ কারণে হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মীদের একাংশ বিক্ষোভ দেখান।

এ দিকে, সরকারের এই সিদ্ধান্ত বদলের পরে সন্তোষবাবু বলেন, ‘‘এই সিদ্ধান্তের ফলে দুর্গাপুরের উপরে চাপ কমবে। জেলার পশ্চিমাঞ্চলের মানুষজনের সুবিধা হবে। তাঁদের দুর্গাপুরে আসতে হবে না।’’ ডিএসপি-র সিটু নেতা সৌরভ দত্ত বলেন, ‘‘ডিএসপি হাসপিটাল ডিএসপি টাউনশিপে জনবসতির মাঝে রয়েছে। সেখানে করোনা-চিকিৎসা শুরু হলে, ডিএসপি কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানোর আশঙ্কা ছিল।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement