Coronavirus

নজরে ২৭ জন, ইতালির তিন মহিলার স্বাস্থ্যপরীক্ষা

প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ দিন সকালে ইতালির ওই তিন মহিলা আউশগ্রামের কয়রাপুরের কাছে একাকারডাঙা গ্রামে একটি অনাথ আশ্রমে যান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুসকরা শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২০ ০০:৪৬
Share:

সতর্ক: করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কের মধ্যেই শুরু হল উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। মাস্ক পরে পরীক্ষাকেন্দ্রে হাজির পড়ুয়ারা। বৃহস্পতিবার কাটোয়ায়। ছবি: অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়

স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার আগে ইতালির তিন মহিলার স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হল ভাতারে। যদিও তাঁদের শরীরে করোনাভাইরাসের কোনও লক্ষ্মণ মেলেনি বলে পূর্ব বর্ধমান জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। যদিও এ দিন আর কর্মসূচিতে যোগ দেওয়া হয়নি ওই মহিলাদের। তাঁরা রাঁচি রওনা হয়েছেন বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। বিদেশ থেকে পূর্ব বর্ধমান জেলায় এসেছেন, এমন ২৭ জনের উপরে নজর রাখা হচ্ছে বলে স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে।

Advertisement

জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিএমওএইচ) প্রণব রায় বলেন, ‘‘বিদেশ থেকে যাঁরাই এই জেলায় এসেছেন তাঁদের উপরে নজরদারি চলছে। ইতালি থেকে ওই তিন মহিলা এসেছেন জানার পরেই প্রশিক্ষিত চিকিৎসক ও নার্সেরা গুসকরা ও ভাতারে তাঁদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করেন। করোনাভাইরাসের কোনও লক্ষ্মণ মেলেনি। কলকাতা বিমানবন্দরেও তাঁদের যে স্বাস্থ্যপরীক্ষা হয়েছিল, সেই রিপোর্টেও কোনও লক্ষ্মণ ছিল না।’’

প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ দিন সকালে ইতালির ওই তিন মহিলা আউশগ্রামের কয়রাপুরের কাছে একাকারডাঙা গ্রামে একটি অনাথ আশ্রমে যান। সেখান থেকে পৌঁছন গুসকরার স্কুল মোড়ে। সেখানে জনজাতি মহিলাদের স্যানিটারি ন্যাপকিন তৈরির একটি যন্ত্রের উদ্বোধন করেন। ওই অনুষ্ঠানে হাজির থাকা পুলিশকর্মীরা আয়োজক সংস্থার কাছে তিন বিদেশি মহিলার সম্পর্কে বিশদে জানতে চান। জানা যায়, ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত ২টো নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছেছিলেন তাঁরা। সেখানে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো হয়। করোনাভাইরাসের কোনও লক্ষণ মেলেনি। তাই তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁরা সোজা চলে যান ঝাড়খণ্ডের দুমকায়। জনজাতিদের জন্য বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ ঘুরে দেখান। তার পরে রাঁচীতে দিন কয়েক কাটিয়ে বুধবার পৌঁছন বর্ধমান শহরের একটি গির্জায়।

Advertisement

গুসকরায় অনুষ্ঠান সেরে তিন মহিলা যান ভাতারের জামবুনি গ্রামে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার এক অনুষ্ঠানে। তাঁরা অনুষ্ঠানে ঢোকার আগেই পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা তাঁদের আটকান। সেখানেও একপ্রস্ত স্বাস্থ্যপরীক্ষা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন বিডিও (ভাতার) শুভ্র চট্টোপাধ্যায়। তিনি জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলার পরে ইতালির তিন মহিলাকে রাঁচি ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। প্রশাসনের তরফে তাঁদের গাড়িতে দুর্গাপুর পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা হয়। সিএমওএইচ বলেন, ‘‘ইতালির মহিলাদের মধ্যে করোনাভাইরাসের কোনও উপসর্গই দেখা যায়নি। এ নিয়ে অযথা আতঙ্কের কারণ নেই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement