Coronavirus

আত্মীয় ও সহকর্মীদের পরীক্ষা, কোয়রান্টিন

সোমবারই স্বাস্থ্য দফতর কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে ওই আধিকারিকের সংস্পর্শে যাঁরা এসেছিলেন তাঁদের নাম জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২০ ০২:০২
Share:

প্রতীকী ছবি

হুগলির শেওড়াফুলির বাসিন্দা একটি বেসরকারি ইস্পাত কারখানার আধিকারিকের ‘করোনাভাইরাস পজ়িটিভ’ রিপোর্ট এসেছিল। তবে জেলা স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, দুর্গাপুরের সগড়ভাঙা ইউনিটে সহকারী জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা দু’জন চালক-সহ মোট ১১ জন কর্মী আপাতত সুস্থ রয়েছেন। পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরের বাসিন্দা এক জনের গলায় সামান্য ব্যথা রয়েছে।

Advertisement

সোমবারই স্বাস্থ্য দফতর কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে ওই আধিকারিকের সংস্পর্শে যাঁরা এসেছিলেন তাঁদের নাম জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। কারখানা কর্তৃপক্ষ মোট ১১ জনের তালিকা জমা দেন। তাঁদের বাড়ি দুর্গাপুর এবং বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান জেলায়। দুর্গাপুর পুরসভার ৪ নম্বর বরো চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কারখানার যেখানে যেখানে আক্রান্ত ব্যক্তি গিয়েছিলেন সেই সেই অংশ জীবাণুমুক্ত করতে পুরসভা বিশেষ ভাবে পদক্ষেপ করেছে।

অতিরিক্ত জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি জানান, কারখানার ওই এগারো জনের এক জন কর্মীকে কারখানায় ‘কোয়রান্টিন’-এ, বাকি দশ জনকে ‘হোম কোয়রান্টিন’-এ রাখা হয়েছে। পাশাপাশি, ওই কর্মীদের পরিবারের আরও ন’জনকেও হোম কোয়রান্টিনে রাখা হয়েছে।

Advertisement

এ দিকে, স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা-আক্রান্ত ব্যক্তির বোন গত ২৭ মার্চ দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের বাড়িতে মারা যান। বুদবুদের শুকডাল থেকে আক্রান্ত ব্যক্তির বোনের মেয়ে, জামাই ও মেয়ের শ্বশুর সেখানে গিয়েছিলেন। মেয়ে-জামাই সেখানেই রয়ে যান। শ্বশুর গত ২৯ মার্চ তারিখ বুদবুদে বাড়ি ফেরেন। তিনি বাড়ির বাইরে ঘোরাফেরা করতে শুরু করেন বলে পড়শিদের একাংশ অভিযোগ করেছেন। পড়শিরাই থানায় খবর দেন। পড়শিদের একাংশের দাবি, আক্রান্ত ব্যক্তির বোন কী কারণে মারা গিয়েছেন তা স্পষ্ট নয়।

এর পরেই মঙ্গলবার সকালে আক্রান্ত ব্যক্তির বোনঝির শ্বশুর ও শাশুড়িকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বলে স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement