ফাইল চিত্র
করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় জেলায় দু’টি ‘কোয়রান্টিন’ কেন্দ্র খোলা হচ্ছে বলে জানাল পশ্চিম বর্ধমান জেলা স্বাস্থ্য দফতর। পাশাপাশি, দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল ও আসানসোল জেলা হাসপাতালে ‘আইসোলেশন ওয়ার্ড’-এর শয্যা সংখ্যাও বাড়ানো হচ্ছে।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য দফতরের কর্তা ও চিকিৎসকদের নিয়ে একটি বৈঠক আয়োজিত হয়। সেখানেই বারাবনির জামগ্রাম আঞ্চলিক হাইস্কুল ও ইসিএলের কাল্লা সেন্ট্রাল হাসপাতাল লাগোয়া আবাসন কলোনিতে দু’টি ‘কোয়রান্টিন’ কেন্দ্র খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দু’টি জায়গায় প্রয়োজনে যথাক্রমে ৪০ ও ২৪ জনকে রাখা যাবে।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিএমওএইচ) দেবাশিস হালদার জানান, সরকারি হিসেবে জেলায় এ পর্যন্ত ৬৯ জন বিদেশ থেকে এসেছেন। তাঁদের মধ্যে ৫২ জনকে ‘হোম কোয়রান্টিন’-এ রাখা হয়েছে। দেবাশিসবাবু বলেন, ‘‘প্রতি দিন সকাল-সন্ধ্যায় স্বাস্থ্যকর্মীরা ওই ৫২ জনের খোঁজ নিচ্ছেন। সকলেই ভাল আছেন। তবে বিদেশ থেকে জেলায় ফেরা বাকি ১৭ জনের খোঁজ চলছে।’’ পাশাপাশি, ওই বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আসানসোল জেলা হাসপাতাল ও দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ‘আইসোলেশন ওয়ার্ড’-এ শয্যার সংখ্যা বাড়িয়ে যথাক্রমে ১২টি ও আটটি করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, অণ্ডালের কাজী নজরুল বিমানবন্দরে স্বাস্থ্যকর্মীরা থাকছেন। কোনও উড়ানে বিদেশ থেকে কেউ আসছেন কি না সে খবর আগাম দফতরে আসবে। সেই মতো তাঁদের বিমানবন্দর থেকেই উপযুক্ত ব্যবস্থাপনায় জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরে সংশ্লিষ্ট যাত্রীর কোনও উপসর্গ মিললে তাঁকে ‘কোয়রান্টিন’-এ পাঠানো হবে। প্রয়োজনে ‘আইসোলেশন ওয়ার্ড’-এও পাঠানো হতে পারে। দেবাশিসবাবু জানান, পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের চিফ মেডিক্যাল সুপারিন্টেন্ডেন্টকে আসানসোল ও দুর্গাপুর স্টেশনে যাতায়াতকারী যাত্রীদের বিশেষ ভাবে পরীক্ষা করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। সিএমএস (আসানসোল ডিভিশন) বিশ্বজিৎ ঘটক জানান, স্বাস্থ্য দফতরের পরামর্শ মেনে চলা হবে।
স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা জানান, জেলা, মহকুমা বা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসকদের জানানো হয়েছে জ্বর, কাশি বা শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে কেউ চিকিৎসা করাতে এলে, তাঁদের প্রথমে আলাদা জায়গায় নিয়ে যেতে হবে। এর পরে চিকিৎসকেরা ‘মাস্ক’ ও উপযুক্ত সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করে চিকিৎসা করবেন। জেলা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, স্বেচ্ছা রক্তদান সম্পর্কিত শিবির আয়োজনে বাধা নেই। তবে কোনও ভাবেই জ্বর, সর্দি, শ্বাসকষ্ট নিয়ে আসা ব্যক্তিদের থেকে রক্ত নেওয়া যাবে না।