এই ফ্লেক্স দেখা যাচ্ছে। নিজস্ব চিত্র
চৈতন্যদেবের দীক্ষাস্থল নিয়ে কাটোয়ার জনসভায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডার মন্তব্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে আগেই। রবিবার মঙ্গলকোট বিধানসভার কারুলিয়া গ্রামে একটি অনুষ্ঠানে এসে মানুষের বিশ্বাস ওই মন্তব্যের পক্ষে, বলে দাবি করেন দলের রাজ্য সভাপতিও। সোমবার এর প্রতিবাদ জানাল তৃণমূল প্রভাবিত ‘পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সনাতন ব্রাহ্মণ ট্রাস্ট’।
এ দিন দুপুর নাগাদ কাটোয়া শহরের স্টেশনবাজার, পুরসভার মোড় থেকে শুরু করে গৌরাঙ্গপাড়া, দুই ফেরিঘাটে সংগঠনের তরফে ফ্লেক্স টাঙানো দেখা যায়। সেখানে লেখা রয়েছে, ‘বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা বললেন, জগদানন্দপুরে রাধাগোবিন্দ মন্দির শ্রীচৈতন্য দেবের দীক্ষাস্থল। আর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ ঘোষ জানালেন, ‘আমি বলছি, ওটাই ঠিক। মহাপ্রভু চৈতন্যদেবকে নিয়ে অপব্যাখ্যাকারীদের কি আপনারা ক্ষমা করবেন?’। যদিও এর পিছনে তৃণমূলের মদত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি। অভিযোগ মানতে চাননি তৃণমূল নেতৃত্ব।
‘পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সনাতন ব্রাহ্মণ ট্রাস্ট’-এর কাটোয়া শাখার সম্পাদক অলোক চক্রবর্তী বলেন, “বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা রাজনীতি করতে গিয়ে চৈতন্যদেবের দীক্ষাস্থলের নাম ভুল বলেছেন। আর রাজ্য সভাপতি সেটাকেই ঠিক বলে দাবি করছেন। ইতিহাস অস্বীকার করায় আমাদের ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে। আমরা শহরের নানা প্রান্তে ফ্লেক্স টাঙিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছি।’’
যদিও এ দিন পূর্ব বর্ধমান জেলা (কাটোয়া) বিজেপি সহ সভাপতি অনিল দত্ত দাবি করেন, “প্রথমে নড্ডাজির গৌরাঙ্গবাড়িতে গিয়েই পুজো দেওয়ার কথা ছিল। পরে কর্মসূচি পরিবর্তন হয়। একটা ভুল বোঝাবুঝি হতেই পারে। বলার মতো কিছু না পেয়ে তৃণমূল এ নিয়ে ব্রাহ্মণদের সামনে রেখে নোংরা রাজনীতি করছে। এতে আমরা বিচলিত নই।’’ কাটোয়ার তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের পাল্টা দাবি, “বিজেপি বাংলার সংস্কৃতি জানে না। চৈতন্যদেবকে নিয়ে অপব্যাখ্যা দেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়েছেন ব্রাহ্মণদের সংগঠন। এর সঙ্গে আমাদের দলের কোনও যোগাযোগ নেই।’’